দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির নির্দেশ আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ''দিঘায় নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। তাড়াতাড়ি মন্দিরের কাজ শেষ হোক। মন্দির খুললেই আমি প্রথম পুজো দিতে যাব।'' তবে, এদিন বিভিন্ন দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ''ভোটের অজুহাত দিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ ফেলে রাখা যাবে না। কন্যাশ্রী প্রকল্পে কলকাতার পিছিয়ে কেন? অনেকেই খুব ভাল কাজ করছেন, কিন্তু কেউ কেউ কাজ করতে চাইছেন না। এ বার কাজ করা শিখে নিন। বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা ও মানবিকভাতা যোগ্য লোকের হাতে যাচ্ছে কি না তা ভাল করে নজর করতে হবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: করোনা-কালে এই প্রথম, নেতাজি ইন্ডোর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার!
এদিন নির্দিষ্ট করে দুটি জেলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ''কাজের নিরিখে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান কেন পিছিয়ে পড়ছে? উপর তলার আধিকারিকরা নীচের দিকে কাজ পাঠিয়ে দেন এবং বলেন কাজ হয়ে গিয়েছে। এটা কিন্তু চরম অবহেলা হচ্ছে। নিজের দফতরের কাজের দিকে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নজর দিতেই হবে। শুধু পয়সা দিলাম আর মেলা করলাম, এ ভাবে চলবে না। কাজ করতে হবে।''
আরও পড়ুন: কোভিড-বিধি মেনেই স্কুলে স্কুলে পড়ুয়ারা! খুশির মেজাজে অভিভাবক থেকে শিক্ষামহল...
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে তিনি বলেন, ''লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে।'' তবে, এদিন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ব্যাংকগুলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ''স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ১৪ হাজারের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। সব থেকে বড় বাধা ব্যাংক গুলো। ব্যাংকগুলো সহযোগিতা করছে না। অন্য ব্যাংক গুলো দিচ্ছে না। যেন মনে হচ্ছে ব্যাংক গুলো দয়া করছে। পলিটিক্যালি নাকি ওদের কেউ বারণ করে দিচ্ছে।''