মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল৷ পরে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনার দু' জনেই দাবি করেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে সম্ভবত পরিচিত কেউই জড়িত রয়েছেন৷
আরও পড়ুন: রেণুর জন্য বড় ঘোষণা মমতার! শুধু চাকরি নয়, কৃত্রিম হাতেরও ব্যবস্থা করবে সরকার
ভবানীপুরে যে জায়গায় এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দূরত্ব সামান্যই৷ এলাকার বিধায়কও মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীও ওই এলাকাকে নিজের পাড়া বলেই উল্লেখ করেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ওই এলাকায় পরিচিত কেউ ছাড়া এ ভাবে ঘরে ঢুকে খুন করা সম্ভব নয়৷
advertisement
এ দিন নিহত দম্পতির মেজ এবং ছোট মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কথা বলেন শাহ দম্পতির অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গেও৷ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷ পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, 'পরিচিত কেউই সম্ভবত এই কাজ করেছে৷ কায়দা করে ফায়দা নিয়েছে৷ ঘটনার দিনই আমার সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের কথা হয়, কারণ আমি উত্তরবঙ্গে ছিলাম৷ পুলিশের তদন্তও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে৷ ৯৯ শতাংশ তদন্ত শেষ৷ আশা করি খুব শিগগিরই দোষীরা ধরা পড়বে৷' মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমাদের এই এলাকায় এরকম ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি৷ আমরা আগের মতোই শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে চাই৷'
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে জোড়া খুন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেই পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও জানান, ঘটনার পিছনে পরিচিত কেউ থাকার সম্ভাবনা বেশি৷ দোষীদের চিহ্নিত করতে প্রযুক্তির সাহায্যও নিচ্ছে পুলিশ৷ তবে তদন্তের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী বা পুলিশ কমিশনার, কেউই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিশদে কিছু বলতে চাননি৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শাহ দম্পতির ছোট মেয়ে বাবা এবং মায়ের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন৷ এখন তাঁকে কোনও আত্মীয়র কাছে রাখতে হবে৷ সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরাই নিজেদের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন৷
