এদিন পঞ্চায়েতের হিংসা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘গন্ডগোল হয়েছে তিন জায়গায়। ভাঙড়ে…ইসলামপুর বা চোপড়ায়। ডোমকলে করেছে৷ আর কোচবিহারে হয়েছে। কোনও মৃত্যুকে সমর্থন করি না। সব কেসে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানেও দেখবেন কাল, পরশু আবার ইডি, সিবিআই শুরু করবে৷ একটা কাক কাঁদলেও কমিশন! জেনে শুনেই লড়াইয়ে নেমেছি। এরা হয় আমাকে জেলে পুরবে না হয় আপনাকে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসকে শেষ করা যাবে না।’’
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কাছে মমতার প্রশ্ন, ‘‘বারবার বাংলার দিকে আঙুল তোলেন কেন?’’
ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরে তৈরি হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট৷ নাম ইন্ডিয়া৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হয়ত সেই কথা মাথায় রেখেই একুশের মঞ্চে মমতার মুখে বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ আজ ছিল বড়ই ফিকে৷
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার তোলেন বাম জমানার প্রসঙ্গ৷ কংগ্রেসের কথা তাঁর মুখে শোনা যায়নি একবারও৷ এদিন মমতা বলেন, ‘‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন ৮৯ জন খুন হয়েছিল৷ ২০০৮ সালে শুধু নির্বাচনের দিন ৩৯ জনের মৃত্যু হয়৷ রাজনৈতিক পঞ্চায়েত তো আমরা তৈরি করিনি৷ সিপিএম আমল থেকে তৈরি হওয়া, সেটা আমরা বহন করে চলেছি৷ এবার ভোটের দিন ১৫ জন মারা গিয়েছেন৷ তার আগে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত ২৯ জন মারা গিয়েছেন৷ এর মধ্যে ১৮ জনই তৃণমূলের৷’’
আরও পড়ুন: সাংসদ পদ কি ফিরে পাবেন রাহুল? ‘মোদি’ মামলায় গুজরাত সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
এরপরেই বিজেপির উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসই তৃণমূলকে খুন করবে? ৭১ হাজার বুথে ইলেকশন হল তিন জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে৷ সিপিএম বিজেপির তিন জন করে খুন হয়েছেন৷ বাদ বাকি অন্যান্য দলের৷তবু আমরা প্রত্যেককে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং পুলিশে স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরি দেব৷’’