তবে এরই মাঝেই ‘ভুল চিকিৎসার’ও প্রসঙ্গ তোলেন মমতা৷ বলেন, ‘‘১০-১২ দিন আমার চিকিৎসা চলেছে। ভুল চিকিৎসার কারণে আমার পায়ের আঘাতে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। ১০-১২ দিন স্যালাইনের মতো আমার হাতে চ্যানেল করা ছিল, ওষুধ চলেছে। সেই অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। তার মধ্যেও প্রতিদিন আমার অফিস থেকে কাগজ গিয়েছে।’’
যদিও, তার পর থেকেই তিনি পুজো উদ্বোধন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজকর্ম সবই সামলেছেন বলে জানান৷ বলেন, ‘‘পুজোর চারদিন ভোর ৫টা অবধি জেগে থেকে পাহারা দিয়েছি, যাতে কোনও ঘটনা না ঘটে। আমি অনেকের কাছে খারাপ, তাতে কোনও সমস্যা নেই। তবে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা ভুল।’’
advertisement
এদিন বিরোধীদের সমালোচনায় ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের ক’টা চিফ মিনিস্টার অফিসে যান? চিফ মিনিস্টার যেখানে থাকেন সেটাই তাঁর অফিস হয়। আমি যে ৬ দিন ৬ ঘণ্টা ধরে পুজো উদ্বোধন করেছি। নবান্নের ছোট ঘরে থেকেছি। আমি নাকি ৫৫ দিন আসেনি। আমি কি টাকা নিই নাকি? আমি বিনা পয়সায় ভলান্টারি সার্ভিস দিই। স্পেনের ভিসিট অফিশিয়াল ভিসিট, কেন্দ্র ক্লিয়ারেন্স দিয়েছিল।’’
গত ২৭ জুন উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময়ে বাঁ পা এবং কোমরে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে দিনই তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেএমে আনা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরে হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের পেশিতে আঘাতের চিকিৎসার জন্য সার্জিকাল প্রসিডিওর করা হয়।
এদিকে, স্পেন সফর থেকে ফেরার পরেই ফের দেখা দেয় পায়ের সমস্যা৷ আবারও তিনি এসএসকেএমে যান৷ তারপর থেকেই চলছিল চিকিৎসা৷ বেশ কিছুদিন কালীঘাটের বাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এমনকি, এবারই প্রথমবার কালীঘাটের বাড়িকে মন্ত্রিসভার বৈঠকও হয়৷