মমতা তাঁর জনসংযোগ যাত্রার কথা মনে করিয়ে বলেন, “আমি ৪৫ দিন জনসংযোগ যাত্রা করেছিলাম। জঙ্গলমহলে করেছিলাম সেই যাত্রা। আমি আমলাশোল, লালগড়, নেতাই, বিনপুর, সাঁকরাইল, বাঘমুন্ডি, গিয়েছি। আমি বন্যা দেখতে গিয়েছি। ডিভিসি হঠাৎ হঠাৎ জল ছেড়ে দেয়। ওরা ড্রেজিং করে না। স্টেডিয়াম, স্পোর্টস অ্যাকাডেমি, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, নতুন জেলা সব করে দিয়েছি।”
advertisement
মমতা তাঁর ঝাড়গ্রাম সফরের স্মৃতি উসকে আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম আমি ঝাড়গ্রাম সফর করেছি। আমি পায়ে হেঁটে গিয়েছি অনেকটা ওদের সাহস জোগাতে। বোলপুর থেকে আউশগ্রাম আসার সময়ে এক বাচ্চা বলেছিল, স্কুলে যাওয়ার জন্য জুতো নেই। আমি ওখান থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলাম, প্রাথমিকে সব শিশু জুতো পাবে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”পুরুলিয়ায় এখনও কষ্ট আছে জলের। কিন্তু JICA কাজ করছে ধীরে৷ প্রধানমন্ত্রী জল নিয়ে বিজ্ঞাপন করছেন৷ করুন, আমার আপত্তি নেই। কিন্তু জমি থেকে এস্টাবলিশমেন্টের খরচ সব রাজ্যের৷ প্রায় ৭০ লাখ বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে এক থেকে দেড় কোটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে যাবে।” এরপরেই মমতার মোদি নেতৃত্বাধীন গেরুয়া শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ, “সারাটা জীবন আমি ঘুরে ঘুরে কাটিয়েছি। বিদেশ সফর করে এনজয় করিনি। ইস্কনকে ৭০০ একর জমি দিয়েছি। ওরা মন্দির করছে। পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে আলোচনায় থাকল না। আর বাঁকুড়া,ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পুরুলিয়ায় ভোট চাইতে গিয়ে বড় বড় কথা বলবে!”
“উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এটা আমার হৃদয়ের মেলবন্ধন৷” অনেকে ভাবে উত্তরবঙ্গ দফতরের কাজ মানে সেটা শুধু উত্তরবঙ্গের। আবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর ভাবে সেটা শুধু পশ্চিমাঞ্চলের কাজ। প্রধানমন্ত্রী কী সব জলের প্রকল্পের কথা বলছিলেন। যেন ওনারাই সব করছেন। এটা ঠিক নয়৷ রাজ্য সরকার এখন সরাসরি ট্যাক্স পায় না৷ এখন একটাই ট্যাক্স জিএসটি। কেন্দ্র পিএম কেয়ার ফান্ড করল। অনেক প্রকল্প বন্ধ করল। অনেক বড় ফান্ড হল৷ কিন্তু রাজ্যে তো বরাদ্দ কিছু জুটল না। আমরা তাই বলেছিলাম দুই বছর জিএসটি কম্পেনসেশন বাড়াও৷ কোভিডে মানুষের খুব অসুবিধা হয়েছে৷ আমি নিজে গিয়ে গিয়ে দেখেছি। দিন-রাত পরিশ্রম করেছি। ভিন রাজ্য থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এসেছি। কোভিডের বিপর্যয় ভোলানোর চেষ্টা হলেও৷ আসলে মানুষের কষ্ট হয়েছে৷
হঠাৎ করে শুনলাম ২ হাজার টাকা বন্ধ৷ আবার শুনলাম চালু৷ এই রহস্য বুঝতে পারলাম না। বাম আমলের বিরাট দেনা আমাদের আজও বহন করতে হচ্ছে। বাম আমলে সঠিক সময়ে পেনশন, মাইনে হত না। এখন সেটা হয়৷ ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়৷