গত দশ বছর ধরে গঙ্গাসাগর মেলার পরিচালনার দায়িত্বে থাকতে দেখা গিয়েছে সদ্য প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে (Subrata Mukherjee)। এই এক দশকে প্রশাসনিক কর্তা থেকে স্থানীয় আয়োজক, এমনকী স্থানীয় মানুষেরাও জানতেন, মেলার ঠিক কয়েকদিন আগে গঙ্গাসাগরে চলে আসতেন মন্ত্রী সুব্রত। সুব্রতর হাত ধরেই আমূল পাল্টে গিয়েছিল মেলার আয়োজন। স্মৃতি মন্থন করে স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিবার এসেই মেলার চারদিন সুব্রত উঠতেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের আবাসনে। ছিল উন্মুক্ত দ্বার। গঙ্গাসাগরের সাধারণ মানুষ, তীর্থযাত্রী থেকে শুরু করে সুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরাও। যেন মুশকিল আসানের ঠিকানা ছিলেন সুব্রত। মেলায় কোনওরকম সমস্যা হলেই তাঁর হাত ধরে সমাধান হত, অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যেত মন্ত্রীকে।
advertisement
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর মেলার আমূল পরিবর্তন করেছিলেন প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় !
একাধিক সংবাদে, এমনকী এই নিউজ১৮ বাংলার প্রতিবেদনেও প্রকাশিত হয়েছে, কেমন ছিল সুব্রতর গঙ্গাসাগর জীবন। যে কয়েকদিন থাকতেন, প্রতিদিন, সন্ধ্যার তিনি পৌঁছে যেতে সাগরপাড়ের মেলা অফিসে। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেন তিনি। পাশে ছিল চায়ের দোকানে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেই চায়ের দোকানে বসে হাল্কা চালে আড্ডা দিতেও দেখা যেত মন্ত্রীকে। কপিল মুণির আশ্রম থেকে শুরু করে সাধুদের আখড়াতেও ঘুরে বেড়াতেন তিনি। সে সবেই ছেদ টেনেছে প্রয়াণ।
আরও পড়ুন: পুরসভায় প্রবেশের মুখে তিনি মিস করলেন শোভনকে, অকপট স্বীকারোক্তি রত্নার
অসুস্থ সুব্রত আগে থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, কিন্তু তাঁর প্রয়াণ একেবারে বজ্রাঘাতের মতো এসে পড়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এ বছর কালীপুজোর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে প্রয়াত হন তিনি। প্রয়াণের খবর প্রকাশের পর শোকে মুহ্যমান মুখ্যমন্ত্রী কার্যত কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে পারেননি। তিনিই আজ ফের স্মরণ করলেন সুব্রতকে, যেন স্মৃতির সরণি বেয়ে বয়ে এল একফোঁটা আবেগের ধারা, যা ফুটে উঠল মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও।