বৃহস্পতিবার বাঘাযতীনে কলকাতা পুরভোটের প্রচারে গিয়েছেন মমতা। সেখানেই বক্তব্য রাখার শুরুতেই ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরাকে এগিয়ে আসতে বলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ''তুমি মাস্কটা খুলে একটু এগিয়ে এসো। ও ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা। আগে কারা দফতরে কাজ করত। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস করবে বলে, মানুষের পাশে থাকবে বলে চাকরিও ছেড়ে দিয়েছে। ওকে বিধানসভা ভোটে অনেক কাজ করিয়েছি।''
advertisement
তবে, তৃণমূলে নবীন প্রজন্মের কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ''আমাদের দলে অনেক নতুন ছেলেমেয়েরা এসেছে। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ড্রাইভার, কেউ রিকশাচালক। সকলকে নিয়েই আমাদের দল। একটা গাছে যখন ফুল বা ফল হয়, তখন সকলকে ভাগ করে দিতে হয়। সকলকে নিয়ে চলতে হয়।'' তবে, এদিন আলাদা করে নজর কেড়েছে ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যার প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসার বিষয়টি।
আরও পড়ুন: দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের পাশে রাজ্য, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কড়া নির্দেশ
বসুন্ধরা গোস্বামী ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু মেধাবী ছাত্রী বসুন্ধরা বাম রাজনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরেই দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন সম্ভবত। এরপর 'জাগো বাংলা'য় কলম ধরার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনার অবসান হয় এবার কলকাতা পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর। ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর প্রয়াত হন প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী মন্ত্রী আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামী। তারপর থেকেই বসুন্ধরার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ধীরেধীরে সুদৃঢ় হয়।
আরও পড়ুন: টোটোয় পড়ে গয়না ভর্তি ব্যাগ, তার পরের ঘটনায় কুর্নিশ করছে বসিরহাট!
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা যখন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় কলম ধরেছিলেন তখন তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছিল। সেই সময়ও অজন্তাকে নিয়ে সিপিআইএমের অবস্থানকে ‘স্টালিনিস্ট আচরণ’ বলেই কলম ধরেছিলেন ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামী। সেই বসুন্ধরা এবার তৃণমূলের প্রার্থী।