মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কল্যাণী এইমসকে জমি আমরা দিয়েছি। ওরা মেন্টাল হেলথের নাম করে সার্ভে করে এনআরসি করছে। কোনও সংস্থা যদি আপনাদের বাড়িতে গিয়ে সার্ভে করে, রাজ্য সরকারের থেকে জেনে নিন। এইমসকে বলব আপনারা রোগীদের পরিষেবা দিন। আপনাদের এই কাজগুলো করতে হবে না। সরকারের আধিকারিক ছাড়া কাউকে কোনও কিছু দেবেন না।’
advertisement
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ক্যাবিনেটে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। বাংলা ভাষায় কথা বললে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রায় ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগ হেনস্থার স্বীকার হয়েছে। বাংলা পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা ফিরে আসছেন হেনস্থা হয়ে, আমরা এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলার বাইরে যারা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তাদের পুনর্বাসনের জন্য একটা পরিকল্পনা করেছি শ্রমশ্রী। কাল শুনলাম অন্ধ্র প্রদেশে একজন খুন হয়েছে। এই প্রকল্পর উদ্দেশ্যে যারা ফিরে আসবেন তাদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। যত দিন না পর্যন্ত কাজ পাচ্ছেন প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে দেব। তাছাড়া কারও প্রশিক্ষণ দরকার হলে আমরা প্রশিক্ষণ দেব। এর মধ্যে কর্মশ্রী প্রকল্প আছে। পরিযায়ী শ্রমিক এলে তাদের খাদ্যসাথী কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেব। নিজেদের বাড়ি না থাকলে কমিউনিটি কিচেন সেন্টার, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুবিধা করে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বিনোদনের দুনিয়ায় পা রাখলেন অবিকল এক শাহরুখ! ট্রেলারেই বাবার মতো মন জিতে নিলেন আরিয়ান, দেখুন ভিডিও
মমতার দাবি, ‘বাংলার যে ২২ লক্ষ ৪০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক অন্যান্য রাজ্যে ও বিদেশে কাজ করছেন তারা সুবিধা পাবেন যারা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছেন তারা পাবেন। শ্রম দফতর এটা কাজ করবে। অনেক বাংলাদেশ এ চলে গেছে বা যারা নানা ভাবে অত্যাচারিত হয়েছে তাদের কোর্ট এ কেস করে নিয়ে আসা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ফিরে এসেছে। শ্রমশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে তারা আবেদন করবেন। তাদের একটা কার্ড দেওয়া হবে। ডিএম, বিডিও ও আইসিদের বলব তাদের চিহ্নিত করতে।’
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়