রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মেনে পরিবেশ বান্ধব গ্রিন বাজি ছাড়া অন্য কোনও বাজি প্রস্তুতির অনুমতি দেবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্ন কর্তাদের মতে, বাজি পরিবেশ বান্ধব গ্রিন বাজি কারখানাকে ঘিরে জল বা বায়ু দূষণের সম্ভবনা নেই। তাই এই কারখানার জন্য ফায়ার অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ হাজার্ডস সংক্রান্ত কোনও ছাড়পত্র নেওয়ার প্রশ্নই নেই। বরং তিনটি শংসাপত্র দেখিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সম্মতি নেওয়া যেতে পারে। এই তিন শংসাপত্র হল, নিরি’র সার্টিফিকেট, অগ্নিনির্বাপন দফতরের লাইসেন্স এবং জেলাশাসকের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশনের লাইসেন্স থাকতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারে, ৪ মাস আগেই সাবধান করেন রেলকর্তা! করমণ্ডল-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
বাজি কারখানার লাইসেন্সে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সরলীকরণের কথাই বলল শিবকাশি ঘুরে এসে রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতরের অধিকর্তা এস স্বরূপের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট। গত সপ্তাহেই এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে এই রিপোর্ট নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাজি কারখানার জন্য লাইসেন্স দেওয়ার চালু প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিতে দীর্ঘ সূত্রিতা রয়েছে বলে মনে করে রাজ্য সরকার। যা বেআইনি বাজি কারখানাকে উৎসাহিত করছে। শিবকাশির মডেল অনুসরণ করতে হলে লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়য় সরলীকরণ দরকার।
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে থরে থরে লাশ, গড়াচ্ছে রক্তরস! স্কুলে ফিরতে ভয় বাহানাগার পড়ুয়াদের
এছাড়াও বাজি কারখানার ক্লাস্টার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ইতিমধ্যেই মহেশতলা বজবজ ও নুঙ্গিত ক্লাস্টার গঠনের জমি চিহ্নিত করেছে। রাজ্যের বাজি তৈরির একটা বড় কেন্দ্র এই জেলায়। হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে। অন্যান্য জেলায় অবশ্য বাজি তৈরির চেয়ে বাজি মজুদ করে বিক্রির ব্যস্থা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সব জেলা এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেনি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাজি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়