দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জট কাটাতে সরাসরি আন্দোলনকারীদের সঙ্গেই আলোচনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গত বুধবার নবান্নে প্রায় চল্লিশ মিনিট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রীর৷ আন্দোলনকারীদের কী দাবি, তা ধৈর্য ধরে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিবও৷ দেউচা পাচামি প্রকল্প গড়তে গিয়ে যে কাউকেই বঞ্চিত করা হবে না, প্রকল্পের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে তা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি এসে প্রেম নাবালিকার, গোপনে উঠল ছবি, তারপর? সিকিমে রহস্যভেদ
দেউচা পাচামি প্রকল্পে এখনও যাঁরা জমি দিতে অনিচ্ছুক, তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার নবান্নে যান৷ এঁদের মধ্যে ৯ জনের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর৷ চল্লিশ মিনিটের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে মূলত চার দফা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে আন্দোলনকারীদের তরফেও এই কথা তুলে ধরেছেন। বৈঠক শেষেই তাঁরা জানিয়েছিলেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রকল্প সম্পর্কে তাঁদের অনেক ভুল ধারণা দূর হয়েছে৷ নিজেদের গ্রামে ফিরে বাকি বাসিন্দাদেরও সেই কথা তাঁরা বোঝাবেন বলে জানান৷ তার পরেই নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রশাসনকে জানাবেন আন্দোলনকারীরা৷ সেই মতো ধর্না মঞ্চ তুলে নেওয়ার কথা জানালেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সৎ পাত্র নাকি অসৎ পাত্র, পয়লা বৈশাখে কাকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ?
জমি দিতে যাঁরা অনিচ্ছুক, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা৷ সরকারি সূত্রে খবর, দেউচা পাচামি প্রকল্পের জন্য মোট ৩৪০০ একর জমি প্রয়োজন৷ যে এলাকায় প্রকল্প গড়ে ওঠার কথা সেখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবারের বাস৷ এদের মধ্যে ১৯০৮ জন জমি দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন৷ ৩৪০০ একরের মধ্যে ১০০০ একর জমি সরকারের হাতে রয়েছে৷ জমিদাতাদের সম্মতিতে ৭৫৬.১৬ একর জমি পাওয়া সম্ভব হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবারের বৈঠকের পর ধর্না মঞ্চ প্রত্যাহার করায় আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে বাকি জমি হাতে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী রাজ্য সরকার৷