২০২৬ এ চোখ রেখে মমতার ঝাঁঝালো হুঁশিয়ারি, “আমি চাইলে তবেই হারাতে পারবে, আমি না চাইলে না। এত সহজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো যায় না।” ঝাড়্গ্রামের সভা থেকে কার্যত বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মমতা। ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ থেকে একেবারে বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন তিনি। এর পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকেই মোবাইলের রিংটোন-কলারটিউন সেট করে নিন।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৪০০ গাছ লাগিয়ে ১২ লাখ আয় করলেন কৃষক…! কী এমন ‘জিনিস’ চাষ করলেন জমিতে? চমকে যাবেন শুনলেই!
ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মমতা বললেন, “কেউ ফোন করলেই ফোন তুলে বলবেন, জয় বাংলা, বলুন। রিংটোন, কলারটিউনে সব জয় বাংলা করে নেবেন। কেউ উল্টোপাল্টা কিছু করতে এলে, ভয় দেখাতে এলে, আর অফিসারদের ভয় দেখাতে এলেও, মনে রাখবেন আমাদের অফিসারদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।”
একই মঞ্চ থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমি যেদিন নিজে মনে করব, সেদিন হঠাতে পারবেন। না হলে, আপনার লোকেরাও আমাকে ভোট দেবে।” ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার কথা জানিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ওই চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে দু’জন ‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা ইআরও) এবং ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা এইআরও)। এর প্রেক্ষিতে রাজ্য কি অবস্থান নিতে চলেছে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি।
সভায় দাঁড়িয়ে ভোটার তালিকা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, “এরা বাংলায় এসে সরকার চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ ও প্রশাসন ওদের আসল চেহারা ভালো করেই চেনে।” মমতার মতে, সংশ্লিষ্ট ইআরও এবং সহকারী ইআরওদের সাসপেনশন আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, ভোটের আগেই পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় চাপ তৈরি করতে চাইছে কমিশন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বাংলা কারও চোখ রাঙানি সহ্য করবে না।”