মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, "বাংলাদেশ থেকে কত মানুষ এসেছেন? সবকিছু হারিয়ে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, সে তো চুক্তি আছে সরকারের সঙ্গে তাঁরা ভারতীয় নাগরিক বলে। কখনও কখনও ভাওতা দেওয়া হয়, সে ভারতীয় নাগরিক নন বলে। নাগরিক না হলে সে ভোট দিল কী করে। সাধারণ মানুষের ভোটে তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী। আজ বলছেন, তোমাকে নাগরিক অধিকার দেব আমি। তার মানে তুমি আমাকে অসম্মান করছ।"
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখন ভোটার লিস্টের কাজ চলছে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এনআরসি-র নাম করে আপনাদের নাম যেন কেটে না দিতে পারে, তাই নিজে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের নামটা তুলে আসবেন। আর দেখে আসবেন নামটা আছে কিনা। অনেক সময়ে আপনার নাম ঠিক থাকবে, আপনার স্বামীর নাম ভুল থাকে, তখন নাম কেটে দেয়। অসমে কত লক্ষ মানুষের নাম কেটে বাদ দিয়েছিল। কত বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম আমরা, এনআরসি লজ্জা।"
আরও পড়ুন, মমতা বেরোতেই তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়, বড় ইস্যুতে সুর চড়াল বিজেপি
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কয়েক লাখ লোককে আমাদের সরকার পাট্টা প্রদান ইতিমধ্যে করেছে। মেদিনীপুরের একটা জায়গা খাসমহল ১০০ বছর ধরে অধিকার পায়নি, কিন্তু আমরা সেটা করে দিয়েছি। এর জেরে ১ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না। পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আমরা বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে দেব না। এটা আমাদের সরকারের পলিসি না। আন্দোলন গড়ে তুলবেন, সরকার আপনাদের পাশে আছে।"
আরও পড়ুন, 'মানুষের জন্য জীবন দিতে রাজি আছি', 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ মমতার!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নিজেরা সবাই ভোটার লিস্টে নাম তুলুন। অধিকার কেউ কাউকে দেয় না। অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। আমরা মানুষের অধিকার দিচ্ছি এবং দেবো। কিন্তু মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে রাজনীতি করব না।"