সূত্রের খবর, শনিবারই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার দুপুরেই ফের কলকাতায় ফিরবেন তিনি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীদের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র এই লেখা আছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। সূত্রের খবর, বিরোধী দলগুলোও এই নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন। এই নৈশভোজে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা হতে পারে। রবিবার কলকাতায় ফিরে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফরে রওনা দেবেন। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশ সফরে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
advertisement
আরও পড়ুন– এক সময় ছিল হিরে ব্যবসার বিশাল সাম্রাজ্য; এখন নীরব মোদির অ্যাকাউন্টে রয়েছে কত টাকা?
প্রসঙ্গত নৈশ ভোজের আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “কেউ কেউ আমাকে ইনসিস্ট করছে আমাকে কিছু কথা বলার জন্য। ভুল সবার হয়। যে কাজ করে তার ভুল হয়। জেনে শুনে ভুল করা, আর না জেনে শুনে ভুল করা দুটোর মধ্য ফারাক আছে। আজকে আমাদের কাছে অনেক বাধা। ‘ইন্ডিয়া’-এর নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড দেওয়া হয়েছে সেখানে দেশের নামটা চেঞ্জ করে দেওয়া হল। এমন কী হল যার জন্য নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হল?’’ সুর চড়িয়েছে বিরোধী দল গুলিও।
আরও পড়ুন– প্রায় এগারো বছর আগে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স; এর ব্যর্থতার কারণ জানেন কি?
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলেও তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হয়নি। তাই এবারে ঘরোয়া ভাবে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেখার তিস্তা চুক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও সাক্ষাৎ হয় কী না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।