পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগ তুলে রাজ্য বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা৷ সেই প্রস্তাব গৃহীতও হয়৷ কিন্তু, দুপুর ৩টে ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুরু কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো পতাকা দেখিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্য বিজেপি বিধায়কেরা৷ তবে তারপরেও অবশ্য নিজের বক্তৃতা চালিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি! নিয়োগের নয়া দুর্নীতিতে ‘মানিকের মানি ট্রেলে’র খোঁজে এবার ইডি
বিরোধীদের পাশাপাশি, দলের একাংশ নিয়েও এদিন কথা বলেন মমতা৷ বলেন, ‘‘দিনহাটা, উত্তর দিনাজপুর ,কালিয়াচক, মাণিকচক, রেজিনগর আছে, এখানে একজন আছেন যিনি গুন্ডামি করেন। আমাদের হলেও আমি এটাকে সমর্থন করিনা। ডোমকল, ভাঙড়ে হয়েছে।’’
মমতার কথায়, ‘‘মালদহে সাথে সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা আমার হাতে নেই। ঘটনা ঘটার পরে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এমন ঘটনা একটাও হোক আমরা চাই না৷’’
এরপরেই মমতার প্রশ্ন, ‘‘খেজুরিতে কারা ঘর পুড়িয়েছে? নন্দীগ্রামে কে অত্যাচার করছে? মহিলাদের ধর্ষণ করবে বলছে। ওরা পালিয়ে এসেছে। পিজিতে যারা ভর্তি ছিল আমি তাদের গিয়ে দেখে এসেছি।’’
মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতিতে জানান, পশ্চিমবঙ্গের ৭টি জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। কিন্তু, বিরোধীদের দাবি, ২২ জেলাতেই ছিল সমস্যা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা মানবিক, আমরা হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছি। একটা মৃত্যুও খারাপ। আমি অরাজনৈতিক পঞ্চায়েতের পক্ষে। কিন্তু আমি তো আর একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’’
বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ করে মমতার বক্তব্য, ‘‘রামধনু জোট ভাগাভাগি করে লড়েছিল৷ আর আমরা একা লড়েছি৷ এবারে ৮৭.৮০% মনোনয়ন জমা হয়েছে৷ ৩৮৯ অবজারভার নিয়োগ হয়েছে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৬৯৬ রিপোল করেছে৷ ভোটের সময় ব্যালট বক্স কে জলে ফেলে দিয়েছিল? পরিকল্পনা কে করেছিল? কে বলেছে ৩৫৫ করব।
আপনারা আর আছেন ৬ মাস।’’