পুজোর ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে প্রায়ই বিরোধীদের কটাক্ষ শুনতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে৷ এমনকি, এ নিয়ে আদালতে মামলাও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের৷ এদিন সেই অতীত তুলে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ক্লাবে টাকা দেওয়া নিয়ে আগেরবার তো আপনারা কোর্টে গেছিলেন। আমার যদি ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ৭২ হাজার কোটি টাকা আসে এটা তো মডেল হওয়া উচিত। পুজো তো এখন ৮-১০ দিনের হয়ে গেছে। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁরা করে যান,আমরাও করে যাব।’’
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার ‘ভুল চিকিৎসা’! হাঁটুতে ‘সেপটিক হয়ে গিয়েছিল’, খোলাখুলি যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বৈঠকের শুরুতেই মমতা জানান, এবারের পুজো খুব শান্তিতে সকলের সহযোগিতায় খুব ভাল ভাবে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্রিটিশ কাউন্সিল একটা রিসার্চ করেছে, তাতে ওরা বলছে, (এবারের পুজোয়) ৭২ হাজার কোটি টাকা আদানপ্রদান হয়েছে। আমার ধারণা, (এই অঙ্কটা) ৮০ – ৮৫ হাজার কোটি টাকা হবে। আমি কলকাতার পুজো দেখেছি, জেলার পুজো গুলো ব্লকধরে যা করেছে, একজন বলছে আর একজনকে দেখো। সময়ের আগেই তারা এগিয়ে গেছে। কোনও রকম কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। মা আমাদের রক্ষা করছে।’’
বস্তুত, ২০১১ সালে সরকারে আসার পর থেকেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় পুজো উদ্যোক্তা ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ২৫ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করে সরকার। করোনার সময় থেকে অনুদান বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। গত বছর অনুদানের পরিমাণ আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্যোক্তাদের দাবি মেনে গত অগস্টে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠক থেকে অনুদানের অর্থ বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করা হয়৷