নয়া প্রোফাইল পিকচারে লেখা আছে, "আমরা গর্বিত+দেশ গর্বিত, বিশ্ব গর্বিত" একই সাথে লেখা আছে Thank You UNESCO...
এদিন রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ হোক বা জোড়াসাঁকোতে মিছিল শুরুর সময়, বারবারই মমতা ধন্যবাদ দিয়েছেন UNESCO'কে। ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দলের সকলকে নিজে হাতে সম্বর্ধনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ফের তার ট্যুইটারের প্রোফাইল পিকচারে বদল বুঝিয়ে দিয়েছে, আগামী দিনে পুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্য বড়সড় ভাবনা চিন্তা করেছে। এরই মধ্যে UNESCO স্বীকৃতি রাজ্যকে গর্বিত করেছে।
advertisement
এদিনের মঞ্চ থেকে দুর্গোৎসবের 'সর্বাঙ্গীন' ঐতিহ্যই বার বার তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। পুজোর মহামিছিলের পর রেড রোডের মঞ্চ থেকে ফের একবার এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “মানবতাই সব থেকে বড় শক্তি। তাই মানবতার সঙ্গে কোনও আপস নয়।”
আরও পড়ুন: SSC নিয়ে হঠাৎ 'আবেগঘন' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! করলেন পর্ষদের নয়া কমিটির প্রশংসাও...
বিশ্ব দরবারে অন্যতম সেরা উৎসবের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। ঢুকে পড়েছে ইউনেস্কোর 'ঐতিহ্য' তালিকায়। সেই কারণেই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে আজ ১ সেপ্টেম্বর মহামিছিলের কথা আগেই ঘোষণা করেন মমতা। সেই মতো এদিন বেলা ২ টোয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে শুরু হয় পুজো মিছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছিলেন তার নেতৃত্বে। মিছিল এসে শেষ হয় রেড রোডে।
অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতা-সহ বিশিষ্টজনেরা। ওই মঞ্চে ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন একাধিক দুর্গামূতি। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিশ্বের গর্বের তালিকায় বাঙালির সংযোজনের 'ঘোষণা' করে কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বার্তা দেন বিরোধীদের সমালোচনারও।