Durga Puja UNESCO || Mamata Banerjee: রেড রোডে মঞ্চ থেকে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ মমতার! মুখ্যমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেন তপতী গুহঠাকুরতাকে
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Durga Puja UNESCO || Mamata Banerjee: একপশলা বৃষ্টি-শেষে রেড রোডে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। মঞ্চ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা। ধন্যবাদ জানালেন ইউনেস্কোকে। উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন অধ্যাপক তপতী গুহঠাকুরতা।
#কলকাতা: শুরু হয়ে গেল বাঙালির প্রাণের পুজো দুর্গাপুজো। আজ থেকেই উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। একপশলা বৃষ্টি-শেষে রেড রোডে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। মঞ্চ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা। ধন্যবাদ জানালেন ইউনেস্কোকে। উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন অধ্যাপক তপতী গুহঠাকুরতা। মন্ত্রী আমলা থেকে টলিউডের কলাকুশলীরা। সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পুজো শুরুর বার্তা দিলেন মমতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ একের পর এক অনুষ্ঠানের রঙিন আবহে মেতে উঠল তিলোত্তমা কলকাতা। রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঙ্গে বিপুল মানুষের সমাগম। ঠিক একমাস পর ১ অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠী। আর আজ রাজপথে এই দৃশ্যই যেন আগাম দেখে ফেলল কলকাতা। কার্যত একমাস আগেই পুজো শুরু হয়ে গেল। এই মানুষের মনে হওয়াকেই যেন শুনতে পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই আজ থেকেই পুজো শুরু হয়ে গেল বলে রাজপথ থেকে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
advertisement
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে উপস্থিত সমস্ত শিল্পীদের তথা ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, "আমার সমস্ত শিল্পীদের ধন্যনাদ জানাই। আমি সৌরভকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। ও আমার ছোট ভাই। ও এসে উপস্থিত হয়েছে। আমাদের সমস্ত আই এ এস'রা এসেছেন।" অধ্যাপক তপতী গুহঠাকুরতাকেও ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, "আমি তপতী দেবীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ওনারা সোশ্যাল রিসার্চে কাজ করেন। আমরা স্যালুট করছি UNESCO টিমকে।"
advertisement
এদিন সংবাদমাধ্যমকে তপতী গুহঠাকুরতা বলেন, “আমার ইউনেস্কোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অব কালচার আমাকে বলেছিল এটা করতে। তাদের হয়ে আমরা কাজটা করেছিলাম। বাংলার হয়েও কাজটা করেছিলাম। কাজটা ছিল কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল লিস্টে স্থান দেওয়া। সার্ভে আমি বহু বছর ধরে করেছি, আমার নিজের কাজের জন্য। তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আমাদের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।”
advertisement
তপতী গুহঠাকুরতা আরও জানান, ইউনেস্কোর নজরে মূল যে বিষয়টি ছিল, তা হল এই দুর্গাপুজোর সর্বজনীন রূপ। এটা বিভিন্ন সম্প্রদায়কে নিয়ে এক মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে। নানা শিল্প, নানারকমের শিল্পকর্মীদের নিয়ে হয় এই উৎসব। এটা ধর্মীয় উৎসবের জায়গা থেকে উঠে এসে সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসব, তার উপরে জোর দেওয়া হয়।
advertisement
মমতার কথায়, "ধর্ম যার যার,উৎসব সবার। এক্ষেত্রে UNESCO থেকে সাহায্য পেয়েই ভাল লাগছে। আমরা আজ সারা বাংলা জুড়ে মিছিল করেছি। সবাইকে তাই ধন্যবাদ। UNESCO আমাদের বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা খুশি। ২৪ সেপ্টেম্বর তারা ফের আসবেন। বেশ কয়েকটা ক্লাবে যাবেন। ঠাকুর দেখবেন।"
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
September 01, 2022 5:33 PM IST