নবান্ন সূত্রে খবর, আগামিকাল নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হওয়ার কথা৷ বৈঠকে কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি মৎস্য, খাদ্য, খাদ্য সরবরাহ সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি বৈঠকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন৷ কলকাতার মূল বাজারগুলির প্রতিনিধিদেরও বৈঠকে থাকার কথা৷ মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মুখ্যসচিব, কলকাতা পুরসভার কমিশনার, কলকাতার পুলিশ কমিশনারও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন৷ সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দাম বাড়ার প্রকৃত কারণ জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ তার উপরে ভিত্তি করেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় মহিলা পুলিশের ব্যাটেলিয়ন, বিশেষ নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
গত দু' সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ক্রমাগত বাড়ছে পেট্রোল- ডিজেলের দাম৷ যার জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ঊর্ধ্বমুখী৷ বিশেষত মাছ, পেয়াঁজের মতো যে পণ্যগুলির উপরে অন্য রাজ্যের উপরে নির্ভরশীল থাকতে হয়, সেগুলির দাম বেশি বেড়েছে৷ কারণ ডিজেলের দাম বাড়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহণ খরচ৷
আরও পড়ুন: ১০০, ২০০, ৫০০ টাকার খেলনা নোটের ছড়াছড়ি! আড়ালে অন্য ব্যবসা চলছে না তো?
অন্যদিকে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতে না হতেই সেই হুজুগে বেড়ে গিয়েছে ভোজ্য তেলের দাম৷ সবমিলিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের৷
বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজ্য সরকারের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ রয়েছে৷ শহর এবং জেলার বাজারগুলিতে সঠিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে কি না, তা দেখার কথা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের৷ অতীতেও জিনিসের দাম বাড়লে বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়েছেন ইবি আধিকারিকরা৷ বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ইবি কর্তাদেরও উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
দাম নিয়ন্ত্রণে অতীতে টাস্ক ফোর্সও গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার তাঁর হস্তক্ষেপের পর রাজ্যবাসী মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে পরিত্রাণ পান কি না, সেটাই দেখার৷