মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, "সব বিল্ডিংয়ের সবাইকে বলছি, আপনারা সবাই ভোটটা দেবেন। আপনারা আমাদের ভোট দেন তা জানি। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রী করে পাঠায়। তাই সবাই ভোটটা এবার দেবেন। অনেক বহুতল এখানে আছে জানি৷ আমার আওয়াজ সকলের কাছেই যাচ্ছে।" 'মিনি ইন্ডিয়া'য় ভোটের শেষ রবিবার প্রচার সারবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভবানীপুর ৭০ নাম্বার ওয়ার্ডে, এই ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে আছে ২০৯২ ভোটে গত বিধানসভা ভোটে। এখানে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৯৩৬, তৃণমূলের ভোট ৩৮৪৪টি। এখানেই হাওয়া ঘোরাতে চাইছে শাসক দল।
advertisement
আরও পড়ুন-বড় সুখবর! উৎসবের মাসেও চলবে দুয়ারে রেশন ট্রায়াল, পাকাপাকি ভাবে আসছে কবে?
এখানে গুজরাতি ভোট আছে প্রায় ৭০০০, মারোয়াড়ি ভোট আছে প্রায় ২৫০০। বাঙালি, গুজরাতি, পঞ্জাবি, মারওয়াড়িদের সঙ্গে মুসলিম ভোটও রয়েছে৷ ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র যেন সবমিলিয়ে এক টুকরো ভারত৷ আর সেই কারণেই ভবানীপুরকে কেন্দ্র করে নিজেদের মতো করে ছক সাজাচ্ছে তৃণমূল- বিজেপি দু' পক্ষই৷ ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহেই ভবানীপুরের অবাঙালি ভোটারদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, 'ভবানীপুরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করেন৷ এখানে অনুগ্রহ করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবেন না৷' বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'ভবানীপুরে শুধু গুজরাতি নয়, মারওয়াড়ি, শিখ, মুসলিমরাও থাকেন৷ তাঁরা এই রাজ্য এবং এখানকার রাজনীতির স্বার্থেই ভোট দেবেন৷ তাঁরা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন, সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে হবে৷"
ভবানীপুরে এই বাংলাভাষী নন ভোটাররাই বিজেপি-র বড় ভরসা৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও ৭০ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে মূলত এই অবাঙালি ভোটের জোরেই এগিয়ে ছিল বিজেপি৷ বাকি ছ'টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল তৃণমূল৷ এবারেও ভবানীপুরে বাঙালিভাষী নন এমন ও হিন্দু ভোটকেই টার্গেট করেছে বিজেপি৷ গুজরাতি, পাঞ্জাবি, মারওয়াড়ি, বিহারি সম্প্রদায়ের ভোটকে নিজেদের দিকে টানাই বিজেপি-র প্রাথমিক লক্ষ্য৷ আর এই ভোটে বড়সড় থাবা বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে চায় তৃণমূল৷ আবার বিজেপি-ও এই অবাঙালি ভোটকে টার্গেট করেই ভবানীপুরে নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে৷
