অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তাঁর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দেন— “আমরা প্রায় ১৪ হাজার নিয়োগ করেছি। কিছুদিন কোর্টে কেস থাকায় আটকে ছিল, কিন্তু এখন কেন বিলম্ব? হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে বলো, কাজে গতি আনতে হবে। আর যদি না আনে, তোমাকেই আনতে হবে।”
advertisement
কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে বলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে প্রায় ১৪,০০০ নিয়োগের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে, যেমন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং অন্যান্য পদের জন্য। এই প্রেক্ষাপটে, বলা যেতে পারে যে কোনও একটি নির্দিষ্ট সময়ে সামগ্রিক নিয়োগ বন্ধ নেই, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে।
স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনি জটিলতা: বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া যেমন কিছু নির্দিষ্ট নিয়োগে আইনি জটিলতা বা মামলা সংক্রান্ত কারণে বিলম্ব হতে পারে।
নিয়োগ চালু থাকার উদাহরণ: রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ড: এই বোর্ড থেকে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যেমন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে ১৯০ জন নিয়োগ করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুর: জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতিতেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চলছে।
স্বাস্থ্য দফতর: স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিভিন্ন শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে রাজ্যে। প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নে। স্বাস্থ্য পরিষেবার এই ব্যাপক উন্নতি নিয়ে গর্ব প্রকাশ করলেও, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন— “চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান— সকলেই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেটা দেখতে হবে।”
