আরও পড়ুন: সব জল্পনার অবসান, তৃণমূলে নিজের পুরনো পদেই ফিরে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে জাতীয় কর্মসমিতির (TMC National Executive Committee) সদস্যদের নাম জমা দিতে হবে৷ সেকথা মাথায় রেখেই আজকের বৈঠক থেকে কর্মসমিতির পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হয়৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, পদাধিকারীদের নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে করেছেন। সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নাম। সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন অরূপ বিশ্বাস। গুরুত্ব বেড়েছে ফিরহাদ হাকিমের। জাতীয় স্তরে সমন্বয় সাধন করবেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি এদিন ইকনমিক পলিসি ও এক্সটারনাল পলিসি নিয়ে কমিটি গঠন হল। অমিত মিত্র ও যশবন্ত সিনহা খসড়া করবেন এই।
advertisement
রাজ্যসভায় জাতীয় মুখপাত্র হচ্ছেন সুখেন্দু শেখর রায়। লোকসভায় দায়িত্বে থাকবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উত্তর পূর্বে থাকছেন সুস্মিতা দেব, মুকুল সাংমা ও সুবল ভৌমিক। লুইজিনহো ফালেরিও, অশোক তানওয়ার, সুস্মিতা দেব, রাজেশ ত্রিপাঠী, সুবল ভৌমিক আজ হাজির ছিলেন কর্মসমিতির বৈঠকে। রাজেশ ইউপি আহ্বায়ক ও অশোক তানওয়ার হরিয়ানার আহ্বায়ক হলেন। দিল্লির অফিস থেকে সুখেন্দু শেখর রায়, মহুয়া মৈত্র ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার বসবেন। নিয়মিত দিল্লি থেকে বলবেন। এদিনের বৈঠক থেকে সমিতির সদস্যসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপ চালু হল। যার মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে সদস্যদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: মেয়র হয়ে ফের কৃষ্ণার বাজিমাত, চেয়ারম্যান সব্যসাচী, বহু পুরনো সঙ্গীতেই আস্থা মমতার
এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দেন সংগঠন আরও মজবুত করার দিকে। তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, বাংলায় সংগঠন অটুট রেখে বাকি রাজ্যগুলিতেও এগোতে হবে। শুক্রবারের বৈঠকে ফের একবার গোয়া ও ত্রিপুরার কাজের প্রশংসা করেন মমতা।
"অর্থনীতি,বিদেশ নীতি তৈরি করতে হবে। সেই নীতি তৈরি করার পর সাধারণ মানুষের সামনে ও রাখতে হবে, লোকসভাতেও উথাপন করতে হবে। জাতীয় স্তরের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনারা নজর রাখবেন।" বৈঠক চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই বার্তা দেন নেতৃত্বকে। যদিও বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চুপ ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।