এবিষয়ে চিকিৎসক রাম বিষ্ণু ঘোষ জানান, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী একটি ফল। শুধু পেয়ারা নয়, পেয়ারা পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। পেয়ারা এমন একটি ফল যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়। পেয়ারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদে পেয়ারা পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
advertisement
সুগারের রোগীদের পেয়ারা পাতা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। পেয়ারা পাতা ডায়াবেটিসে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্যানিন এবং পলিফেনলের মতো উপাদান রয়েছে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
ডায়াবেটিস রোগীরা পেয়ারা পাতার চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এতে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পেয়ারা পাতার চা তৈরি করতে, ১ কাপ জলে কিছু পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে নিন। এবার এটি ছেঁকে পান করুন। খাওয়ার পরে যদি পান করেন, তাহলে এটি আরও উপকারী প্রমাণিত হয়। ডায়াবেটিস রোগীরা সকালে পেয়ারা পাতার চাও পান করতে পারেন। এই চা পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
যদি আপনি এটি চায়ের মতো বানাতে না চান, তাহলে আপনি ২-৩টি পেয়ারা পাতা ধুয়ে সকালে খালি পেটে চিবাতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস রোগীর উপকার হবে। এছাড়াও, আপনি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করেও খেতে পারেন। পেয়ারা পাতা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য টনিকের মতো কাজ করে।
পেয়ারা পাতা কেবল ডায়াবেটিসেই কার্যকর নয়, আরও অনেক রোগেও কার্যকর। পেটের ব্যথা হলে পেয়ারা পাতা চিবানো বাঞ্ছনীয়। আয়ুর্বেদে, বর্ধিত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি জমে থাকা কোলেস্টেরল বের করে দিতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতা স্থূলতা কমাতেও ব্যবহৃত হয়। সকালে খালি পেটে পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা পান করলে পেটের মেদ কমে। পেয়ারা পাতার চা এবং পেয়ারা পাতার রস রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং চুলের গোড়া উন্নত করতেও সাহায্য করে।