ভবানীপুরের (Bhabanipore) ভোটারদের কাছে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের (Mamata Banerjee) আবেদন পত্র পৌঁছে গিয়েছে৷ বাংলা এবং ইংরেজিতে ভোটারদের কাছে নিজের আর্জি পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে আমি ভবানীপুর কেন্দ্রকে ঘিরেই পথ চলা শুরু করেছি৷ আজ আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, সেটাও ভবানীপুরের জন্য৷ আবার উপনির্বাচন আসছে ৩০ সেপ্টেম্বর৷ আপনাদের শুভেচ্ছা আপনাদের ভোটের মাধ্যমে পেলে তবেই বাংলায় উন্নয়নের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারব৷ আপনাদের প্রত্যেকটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা ভালো থাকলে তবেই আমি ভালো থাকব৷'
advertisement
আরও পড়ুন: সক্রিয় রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ ঘোষণা প্রণবকন্যার, কংগ্রেস কি ছাড়ছেন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়?
নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধের কারণে এবার ভবানীপুরে প্রচারে পুরোদমে প্রচার করতে পারছেন না কোনও প্রার্থীই৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করাও সম্ভব হচ্ছে না৷ তার জন্যও আবেদনপত্রে ভোটারদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সবশেষে নিজেকে ভবানীপুরের একান্ত আপন, ঘরের মেয়ে হিসেবে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
ভবানীপুরে ভোট প্রচারে ইতিমধ্যেই কয়েকটি জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর জয় নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব নিঃসংশয় হলেও ভোট দানের হার কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে বার বারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাই বার বারই ভোটারদের কাছে বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন রেখেছেন তিনি৷ কারণ ভোট দানের হার কমলে তার সুবিধা পেতে পারেন বিরোধীরা৷ ভোটারদের কাছে পাঠানো আবেদনপত্রেও একই আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷
২০১১ সালে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে জিতেই মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১৬-তেও এই কেন্দ্র থেকে জয় পান তিনি৷ কিন্তু ২০২১-এ নন্দীগ্রাম থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন মু্খ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হওয়ায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ফের ভোটে লড়তে হচ্ছে তাঁকে৷
