কলকাতা পোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি নৌকার রিভার ট্রাফিক চালান কাটা আছে। কিন্তু গঙ্গার মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বিষয়টি শুনতে শুনতে ফোন কেটে দেন। বিষয়টি পুনরায় জানানোর জন্য ফোন করলে, আর ফোন ধরেননি।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ ভাবে নদীর পাড়ের মাটি কাটলে, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হলে, ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে নদীর উপকূল। বাবুঘাট পার্কের কর্মীদের বক্তব্য, এই মাটি চুরি চক্রের পেছনে বড় মাথা কাজ করে। যারা মাটি কাটছিল, তাদের মধ্যে রোহিত কয়াল বলে, 'আমরা প্রত্যেকে উলুবেড়িয়া, বাউড়িয়া থেকে আসি। এই মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করি। গঙ্গার মাটি পলিমাটি হওয়ার জন্য ইট ভাল হয়।'
সূত্রের খবর, মাঝে মাঝে কুমোরটুলিতে ঠাকুর তৈরির জন্য এখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। থানা সেই জেনেই মৌখিক অনুমতি দেয় হয়তো।কিন্তু সেই সুযোগ নিয়ে, রীতিমত ইট ভাটায় চড়া দামে বিক্রি করে মাটি চোরেরা। এক নৌকা মাটির দাম ১৫ হাজার টাকা নেয়। বাবুঘাটের ডান পাশে যেভাবে প্রতিদিন মাটি কেটে বড়ো বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, তাতে নদীতে নোঙ্গর করে থাকা অন্যান্য লঞ্চ স্টিমারের কর্মীদের বক্তব্য, ওই এলাকায় নদীর পাড় খুব তাড়াতাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। প্রশাসনের উচিত চোরদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া।
SHANKU SANTRA