দলের মধ্যেই বড় অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে৷ কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে চিঠি লিখেছেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার ছয় বিধায়ক৷
আরও পড়ুন: ‘আমরা বসে ললিপপ খাব না!’ চারদিনে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারিকে উড়িয়ে দিলেন মমতা! নিশানায় কি বিজেপিও?
কৃষ্ণনগরের সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে রয়েছেন মহুয়া৷ মূলত জেলা সভাপতি হিসেবেই মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন দলের বিধায়করা৷ মহুয়ার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কাজে অসহযোগিতার পাশাপাশি একাই সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার ছয় বিধায়ক৷
advertisement
যে ছয় বিধায়ক মহুয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন, তাঁরা হলেন কল্লোল খান (নাকাশিপাড়া), উজ্জ্বল বিশ্বাস (কৃষ্ণনগর দক্ষিণ), রুকবানুর রহমান (চাপড়া), নাসিরুদ্দিন আহমেদ (কালিগঞ্জ), বিমলেন্দু সিংহ রায় (করিমপুর) এবং মানিক ভট্টাচার্য (পলাশিপাড়া)৷
ওই বিধায়কদের অভিযোগ, দলের নির্দেশ থাকলেও তাঁদের সঙ্গে কার্যত কোনওরকম যোগাযোগই রাখছেন না মহুয়া মৈত্র৷ এমন কি, সাংগঠনিক কোনও প্রয়োজনেও সাংসদকে পান না তাঁরা৷ বিধায়করা চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অন্ধকারে রেখেই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলায় ১৭৮ জন বুথ সভাপতি এবং ১৭ জন অঞ্চল সভাপতিকে বদল করেছেন মহুয়া৷ চিঠিতে বিধায়করা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অন্ধকারে রেখেই একের পর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মহুয়া৷ নদিয়া জেলার রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা নিয়ে এমনিতেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে৷ কারণ গোটা নদিয়া জেলাতেই বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী৷ সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের বছর দেড়েক আগে বিধায়কদের সঙ্গে এলাকার সাংসদের এই কোন্দল তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ এই পরিস্থিতিতে মমতা স্পষ্ট করে দিলেন, এখনই মহুয়াকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চান না তিনি।