খুনের ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া হয়ে যায় জানে আলম মোল্লা। এরপর তার খোঁজ শুরু হয় এলাকাজুড়ে। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালায় (Magrahat Murder)। এরপরেই মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করে অবশেষে রবিবার দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। রবিবারই আদালতে তোলা হবে জানে আলমকে (Civic Volunteer Murder main Accused) এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে ভাসতে পারে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণে কি বাড়বে গরমের দাপট? জানালো হাওয়া অফিস
মগরাহাট এলাকায় গতকাল এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ (Civic Volunteer Murder) খুন হয়েছেন ২ জন। হাড়হিম এই ঘটনায় গুলি করে, গলা কেটে খুনের অভিযোগ রয়েছে জানে আলমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে শেরপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে ব্যবসায়িক কারণেই এই খুন। জোড়া খুনের ঘটনার পর রবিবার সকাল থেকেই জানে আলমের গ্রেফতারির দাবি তোলে গ্রামবাসীরা। দু-দুটি খুনের পর এদিন সকালে থমথমে ছিল গোটা মগরাহাট (Magrahat Murder)! গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছিল বাড়তি পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে ইমারতি সামগ্রী কেনার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী জানে আলম মোল্লাকে (Jane Alam Molla) টাকা দিয়েছিলেন মলয় মাখাল (২৭)। জানে আলমের কাছে মলয়ের পাওনা ছিল ৮০ হাজার টাকা। অভিযোগ, এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও ইমারতি দ্রব্য মেলেনি। টাকা চাইলেও ফেরত দেয়নি জানে আলম মোল্লা। এদিন টাকা ফেরত দেবেন বলে মলয়কে ডেকে পাঠান জানে আলম। মলয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীও। বরুণ ও মলয় আসতেই তাঁদের নিজের কারখানায় ঢোকান জানে আলম মোল্লা। সেখানে তাঁদের খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
কারখানার সামনে বরুণ-মলয়ের বাইক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরা জানে আলমকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, কারখানার ভিতরে বসে বরুণ আর মলয় মদ্যপান করছে। কিন্তু জানে আলমের কথা বিশ্বাস হয়নি স্থানীয়দের। কারখানার দরজা ঠেলতেই তারা দেখে, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মাটি। প্রথমে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে দু’জনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই জানে আলমের গ্রেফতারির দাবি তুলে সোচ্চার হয় এলাকাবাসী। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।এই ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া হয়ে যায় অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা।
আরও পড়ুন : মালাবদলের ঠিক আগেই আচমকা বরকে চ্যালেঞ্জ! সুপারহিট পারফরমেন্সে কি বউকে কয়েক গোল স্বামীর?
রবিবার মোবাইল টাওয়ার দেখে লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এসডিপিওর নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশের ৬টি গাড়ি তাকে ধাওয়া করে। এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় রবিবার সকালে কলকাতার চারু মার্কেট থানার কাছে পুলিশ জানে আলম মোল্লাকে আটকে দেয়। এরপর ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।