এর পরেই পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করেন মদন মিত্র। যা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা ৷ যদিও মদন মিত্র এদিন জানিয়েছেন, ‘‘কোনও অন্তর্দ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। ববি আমার প্রিয় ভাই ৷ ও আমাকে বিরিয়ানি খাওয়াক।’’ মদন মিত্র আসলে তাঁকে বিরিয়ানি খাওয়াবেন বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র।
আরও পড়ুন- কলকাতার আকাশে ‘তিমি’! বিমানটিকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ল বিমানবন্দরে
advertisement
আগামী বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অস্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন বলেই দাবি তাঁর। পালটা মদনকে ‘গ্যাংস্টার’ বলে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।
মদনের এই বক্তব্যকে অবশ্য সমর্থন করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর বক্তব্য নিয়ে কড়া তৃণমূল কংগ্রেস। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের এই মন্তব্য যে দল কোনওভাবে অনুমোদন করে না তা বুঝিয়ে দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়! মদন মিত্র বলছেন কে? ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষমতা নেই৷ তিনি পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন না ৷ রাজ্যের মন্ত্রী নন ৷ ফুচকি ফুচকি কথা বলে প্রেস অ্যাট্র্যাকশন করা যায়৷ আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন, সেটাই ফাইনাল ৷ ভোট শান্তিপূর্ণ হবে ৷’’
আরও পড়ুন- কলকাতায় এক টুকরো কাতার, মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোদের সঙ্গে পাটুলিতে গেলেই দেখা হয়ে যাবে !
শনিবার নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর মহিলা তৃণমূল পরিচালিত একটি সভায় অংশ নেন মদন মিত্র। এর পর সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘দিলীপবাবু বলেছেন, ওঁরা ওঁদের কর্মীদের ঘরে ঘরে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে অস্ত্র কোথায় পৌঁছচ্ছে জানতে পারলে আমাদের ভালই হবে। আমাদের কর্মীরা গিয়ে ওগুলো নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ভাল প্রশিক্ষক রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সেনা কর্মী এবং কর্নেল। আমাদের কর্মীরা ওই বন্দুক নিয়ে প্র্যাকটিস করবে যাতে সেগুলো বিজেপি ব্যবহার করতে না পারে। আমাদের কর্মীরা বন্দুকে গুলি ঢোকাতে এবং বার করতেও শিখবে।’’