রাজ্যে বেসরকারি বাস ইউনিয়ন মারফত স্বীকৃত দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। তার মধ্যে চলাচল করছে ওই দুই থেকে তিন হাজার বাস। বাস সংগঠনের এক নেতার হিসাব অনুযায়ী, কলকাতা থেকে চন্দ্রকোণার মধ্যে একটা বাস চালাতে একপিঠে খরচ হয় ৫৩০০ টাকা। সেখানে টিকিট বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৬০০ টাকা। ফলে মালিকের ক্ষতি প্রায় ২৭০০ টাকা৷ অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাচ্ছি৷ মালিকদের পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে। এভাবে চালানো সম্ভব নয়।'' খারাপ অবস্থা উত্তরবঙ্গের বাস মালিকদের। কারণ করোনার জেরে পর্যটক কমেছে। দ্বিতীয়ত শিলিগুড়ি, বালুরঘাট, মালদা থেকে বাস ভর্তি যাত্রী কলকাতা, দীঘা, বর্ধমান, দূর্গাপুর, খড়গপুর, আসানসোল আসছেন না। ফলে ফাঁকা আসন নিয়েই কিছুদিন যাতায়াত করে আপাতত বাস বন্ধ করে দেওয়া হল। সংগঠনের নেতা প্রণব মানি জানিয়েছেন, প্রতিদিন আন্তঃজেলায় যাওয়ার লোক কমছে। তাই আমরাও অপারগ হয়ে বাস কম চালাচ্ছি৷ বেশিরভাগ বাস বসে গিয়েছে৷ এছাড়া ওড়িশার সাথে যে যোগাযোগ ছিল বাসের মাধ্যমে তা বন্ধ আছে। ওড়িশা সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যাত্রীদের টিকার দুটি ডোজের শংসাপত্র দেখাতে হবে। নয়তো ৪৮ ঘন্টা আগে করা আর টি পি সি আর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ বলে দেখাতে হবে। ফলে কলকাতা ও দুই মেদিনীপুর থেকে যে সংখ্যক বাস ওড়িশার জন্যে যাতায়াত করছিল তা পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে আছে।
advertisement
ABIR GHOSHAL