জানা গিয়েছে, ইডি-কে পাঠানো উত্তরে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কৃষ্ণনগরে ব্যস্ত৷ সেই কারণে তিনি আজ দিল্লিতে ইডি কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারবেন না৷
ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এই সমন জারি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ এই নিয়ে মহুয়াকে তৃতীয় বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি৷
advertisement
এর আগে ১৯ মার্চ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই সময়ইডিকে চিঠি লিখে হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। এরপর তাঁকে আবারও সমন জারি করা হয়৷ ২৮ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু, সেই হাজিরাও এড়িয়ে গেলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ শে মার্চ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। এরপরই গত শনিবার মহুয়ার বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে লোকপালের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই বিষয়কে সামনে রেখেই মহুয়া মৈত্রের বাবা দীপেন্দ্রলাল মিত্রের আলিপুরে ফ্ল্যাটে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে খালি হাতেই অবশ্য বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। এরপর কৃষ্ণনগরে মহুয়ার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখেই নারদ কাণ্ডে ‘বিস্ফোরণ’! ম্যাথুকে ডাকল সিবিআই, মারাত্মক মন্তব্য স্যামুয়েলের!
এরপরই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে বাধা দানের অভিযোগে তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন মহুয়া মৈত্র। প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকপাল। সেই পথেই হেঁটেছে সিবিআই৷ মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তল্লাশি শুরু করে তাঁরা৷ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভোট প্রচারে অস্ত্র করবে বিজেপি৷ এরই মধ্যে এবার ইডি ডেকে পাঠাল মহুয়াকে।
শিল্পপতি হীরানন্দানির থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে৷ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে প্রথম এই অভিযোগ করেছিলেন৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় সংসদের এথিক্স কমিটি৷ সেই মতো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত বছর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়৷