এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুই নেত্রীই দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাটি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের অজান্তে ঘটেছে বলে দাবি করা হলেও, এর প্রভাব অনেক দূর গড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছে কেন লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দমদমের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি?
advertisement
এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার শুধু লকেট ও ভারতী নন, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় ডাকা হয়নি। যখন প্রধানমন্ত্রী দমদমে ছিলেন, দিলীপ তখন বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষ আবারও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি খড়গপুর থেকে নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, খড়গপুরের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি সেখানকার ভোটার।
সব মিলিয়ে, এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। দলের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সরাসরি অভিযোগ করছেন, এবং জেলা স্তরেও ‘ব্যানার রাজনীতি’ চলছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ কুকুর কামড়ালে কী করবেন জানেন…? সঙ্গে সঙ্গে করুন এই ‘কাজ’, বলে দিলেন এক্সপার্ট
এই পরিস্থিতি ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আরও একটি উদাহরণ দেখা গিয়েছে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভায়। সেই সভার ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ছিল, কিন্তু রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ছবি ছিল না।
সাধারণত, বিজেপির জেলা স্তরের সভায় রাজ্য সভাপতির ছবি থাকে, তাই তার ছবি বাদ পড়া নিয়ে দলীয় মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাটিয়ে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ বারংবার দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।