ফুটফুটে হয়ে যাবে মুখ...! রাতে ঘুমোনোর আগে মুখে লাগান দুই অলৌকিক 'জিনিস', ৭ দিনে দেখুন তফাৎ, লজ্জা পাবে পূর্ণিমার চাঁদ!

সুন্দর মুখ কে না চায়! সকলেই চান এমন চেহারা যা মুহূর্তে কেড়ে নেবে সকলের নজর। মুখ থেকে ত্বক হবে অলৌকিক উজ্জ্বলতায় ভরপুর যা দেখে ঈর্ষা করবেন অনেকেই। কিন্তু এই সবই অধরা মাধুরী হয়ে যায়, যখন মুখের উপর এসে পরে অমাবস্যার অন্ধকার, অর্থাৎ আলগা কালো পোচের পিগমেন্টেশন।

কখনও আবার ব্রণ, ফুসকুঁড়িতে জীবন জেরবার হয়ে ওঠে। যদিও সার্বিক সৌন্দর্য পেতে যথাযথ লাইফস্টাইল ও খাওয়াদাওয়া জরুরি সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত জলের সেবনও মাস্ট, কিন্তু একথা অস্বীকার করা যায়না যে কিছু কিছু জিনিস এর বাইরেও মুখ ভিতর থেকে সুন্দর করে তুলতে বড় কার্যকর ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।

আজকের ব্যস্ত জীবনে, সবাই নিজেকে স্মার্ট এবং উজ্জ্বল দেখাতে চায়। কিন্তু দূষণ, মানসিক চাপ এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে মুখের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। আর্দ্রতা এবং তীব্র রোদের কারণে ত্বক নিস্তেজ এবং কালো হতে শুরু করে।

এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই দামি সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করেন , আবার কেউ কেউ দেশীয় প্রতিকারও চেষ্টা করেন। কারণ আয়ুর্বেদে বলে এমন কিছু উপাদান আমাদের আশেপাশের প্রকৃতির মধ্যেই থাকে যা ম্যাজিক করতে পারে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের দেখভালে!

এই প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের গুমলা শহরে অবস্থিত ডক্টর পঙ্কজ ক্লিনিকের আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডক্টর পঙ্কজ কুমার এমন কিছু ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা জানিয়েছেন, যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসে সহজেই উজ্জ্বল এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। আর খরচ হবে নামমাত্র।

আয়ুর্বেদের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা:
ডাঃ পঙ্কজ কুমার বলেন যে কেবল মহিলারা নয়, শিশু এবং যুবকরাও উজ্জ্বল ত্বক চায়। এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পর্যাপ্ত জল পান করা। তিনি বলেন যে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার জল পান করা উচিত, চুমুক দিয়ে দিয়ে। এটি করলে শরীর হাইড্রেটেড এবং ফিট থাকে, যার প্রভাব মুখে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য জাফরান এবং দুধের ক্রিমের ফেসপ্যাক খুবই কার্যকর। ডঃ পঙ্কজের মতে, দুধের ক্রিম বা কাঁচা দুধের ক্রিমের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এতে সামান্য মুসুর ডাল বেসন যোগ করলে এটি আরও কার্যকর হয়। এই পেস্টটি ফেসপ্যাক হিসেবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখে লাগান।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ তাঁর পরামর্শে বলেন, যেখানে ত্বকের বেশি হাইড্রেশনের প্রয়োজন, সেখানে একটু ঘন পেস্ট লাগান। এই পেস্টটি শরীরের তাপমাত্রায় নিজে নিজেই শুকাতে দিন, রোদে শুকাবেন না। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ধরে একটানা এটি করলে মুখে অসাধারণ উজ্জ্বলতা আসে।

কুমকুম এবং পলাশ তেল দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি:
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য, ডঃ পঙ্কজ কিছু তেল ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন। ফেসপ্যাকের পরে, কুমকুম তেল বা পলাশ তেল (পলাশ ফুল দিয়ে তৈরি তেল) লাগালে মুখে খুব দারুণ উজ্জ্বলতা আসে।

পলাশ ফুলের গুঁড়ো অনলাইনে পাওয়া যায়, এটি ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে পুরো শরীরে লাগালে শরীরে আলাদা উজ্জ্বলতা আসে। রাতে ঘুমানোর আগে এই তেলগুলি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। ডঃ পঙ্কজ কুমার আরও বলেন যে এই সমস্ত প্রতিকার ত্বক সুস্থ রাখার জন্য খুবই উপকারী এবং এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই ।

এছাড়াও আরও কিছু টোটকা ব্যবহারে পেতে পারেন ফল:
লেবুর রস : লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যাসিড। যা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। প্যাকের সঙ্গে একটু করে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করে দেখুন। মুখের কালো দাগ উধাও হয়ে যাবে।

টম্যাটোর রস: ত্বক ফর্সা করতে টম্যাটো দারুন কার্যকরী। কিন্তু সবার ত্বকে আবার সহ্য হয় না। মুখে যেসব জায়গায় কালো দাগ রয়েছে সেখানে টম্যাটো রস লাগিয়ে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

আলুর রস: প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখের যে জায়গায় কালো দাগ রয়েছে, তার উপর আলুর রস লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। কালো দাগ দূর হয়ে মুখ অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে।

উপরোক্ত এই তিনটি উপায়ের যে কোনও একটি সপ্তাহে পরপর তিন দিন করে দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন এটা ত্বকে কাজ করছে কিনা। আর এক সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।

উল্লেখ্য, এই ধরণের যে কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার জন্য, আপনি চাইলে ডাঃ পঙ্কজ ক্লিনিকে বিনামূল্যে পরামর্শ নিতে পারেন অথবা ৮২৯২৭৪২৫৭৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।