ছোট লক্ষ্মীপ্রতিমা (Goddess Lakshmi Idol) যারা কিনে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে পুজো করেন, তাঁদের বক্তব্য প্রতিমার গায়ে এক ফোঁটা জল পড়লে রং নষ্ট হয়ে যাবে। সেই জন্য ঝুঁকি নিচ্ছেন না প্রতিমা কেনার। এক প্রতিমা বিক্রেতার দাবি, গণেশপুজোতে যত গণেশমূর্তি এনেছিলেন, তার অর্ধেকও বিক্রি করতে পারেননি। তিনি গতবছর আড়াইশো লক্ষ্মী প্রতিমা এনেছিলেন ।এ বার একশো মূর্তি এনেছেন। সোমবার বেলা পাঁচটা পর্যন্ত মাত্র দুটি ঠাকুর বিক্রি করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : 'অপয়া' বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত লক্ষ্মীপুজোর বাজার, মাথায় হাত ফল-সবজি-ঠাকুর বিক্রেতাদের
ফলের দোকানগুলো একেবারে ফাঁকা বলা চলে। অন্যান্যবার দেখা যেত, লক্ষ্মীপুজোর বাজারফেরত ক্রেতা বলতেন, ফলের বাজারে আগুন! এ বার বিক্রেতারা বসে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছেন। পর পর দু'বছর করোনা আবহে আর্থিক মন্দার কারণে পুজোতে সবাই রাশ টেনেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় নারকেলের মিষ্টি থাকেই! কীভাবে বাড়িতে চন্দ্রপুলি বানাবেন রেসিপি দেখুন
তার উপর, বৃষ্টির প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ রাস্তায় পা-ও রাখছেন কম। তবুও ব্যবসায়ীরা আশায় রয়েছেন বৃষ্টি বন্ধ হলেই তাঁদের বিক্রি বাড়বে। জয়নগর থেকে তালফোঁপড়া, ঘটে রাখার ছোট ডাব এবং ধানের শীষ নিয়ে এসেছেন পার্বতী হালদার। ভোরবেলায় উঠে ট্রেনে করে এসে বসে রয়েছেন বাজারে। ধানের শীষ গুলো সুন্দর বিনুনি করে বাঁধা। তাঁর আক্ষেপ, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর পশরার কিছুই বিক্রি হয়নি। সবমিলিয়ে, লক্ষ্মীপুজোর বাজারে বিক্রেতাদের লক্ষ্মীলাভের আশা এখনও দূর অস্ত্ ৷