ভাইরাল সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে ওই স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো হয় হিন্দি এবং বাংলা৷ অর্থাৎ পড়ুয়ারা এর মধ্যে যে কোনও একটি ভাষাকে তাদের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নিতে পারে৷ কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় সকলে হিন্দিকেই বেছে নিচ্ছে৷ বাংলা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে পড়ছে মাত্র ২-১ জন৷ সেটা তাদের বাড়িতেই পড়ার জন্য বলা হচ্ছে স্কুল থেকে! এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আর কোনও বাংলা ভাষার ক্লাস না হওয়ায় সেই ভাষার শিক্ষকেরও দরকার থাকছে না৷ তাই বাংলাভাষার শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও তাই স্কুলে থাকার আর কোনও প্রয়োজন নেই৷ কারণ বাংলা ভাষাই প্রায় অস্তিত্বহীন৷
advertisement
এই চিঠি দিয়ে যে শিক্ষিকাকে ছাঁটাই করা হয়েছে তিনিই সামাজিক মাধ্যমে চিঠিটি পোস্ট করেছেন বলে জানা গিয়েছে৷ তার শনিবার সারা দিন চিঠি ঘুরতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ চিঠির বয়ান নিয়ে কার্যত তোপ দেগেছেন নেটিজেনরা৷ তাছাড়া ইংরেজি চিঠিটাও ব্যাকরণগত ভুলে ভরা বলে চিহ্নিত করেছেন নেটিজেনরা৷
আরও পড়ুন : সাধিকার জীবন কাটিয়ে সফল ইউপিএসসি পরীক্ষায়, গ্রামের মেয়ে পরী এখন ব্যস্ত আইএএস অফিসার
আড়িয়াদহের মতো শহরতলিতেও বাংলার প্রতি পড়ুয়াদের এই তীব্র অনীহা ভাবিয়ে তুলেছে ভাষাবিদদের৷ তাছাড়া নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফেই যদি কোনও ভাষাকে অস্তিত্বহীন তকমা দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সমাজের কাছে কী বার্তা পৌঁছবে? প্রশ্ন উস্কে দিল বেসরকারি স্কুলের বরখাস্ত-চিঠি৷