আরও পড়ুন : ২০২৫ সালে টিবি মুক্ত বাংলা, যক্ষ্মা নিরাময়ে নয়া উদ্যোগ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের
এলঅ্যান্ডটি ইতিমধ্যেই বাংলায় নিম্ন দামোদর উপ অববাহিকায় (Lower Damodar Sub Basin flood) বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। হুগলি এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এর মধ্যে রয়েছে। নিম্ন দামোদর উপ অববাহিকার দুটি প্রধান শাখা রয়েছে এর মধ্যে। এর একটি হল মুণ্ডেশ্বরী নদী এবং অন্যটি নিম্ন দামোদর (আমতা শাখা)। এই অববাহিকায় ১.৮৮৭ লক্ষ হেক্টর অর্থাৎ ১,৮৮৭ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল বাংলার বন্যাপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে প্রায় ০.৩৩৫ লক্ষ হেক্টর অর্থাৎ ৩৩৫ বর্গ কিলোমিটার জায়গা এবং প্রায় ৪.৬১ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর বন্যার কবলে পড়েন।
advertisement
আরও পড়ুন : কার্টুনকে হাতিয়ার করল কলকাতা পুলিশ! করোনা সচেতনতায় একেবারে নয়া উদ্যোগ
বাংলার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের সেচ দফতর ইতিমধ্যেই একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এলঅ্যান্ডটি বাংলার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সকল উপায় গ্রহণ করতে চলেছে, সেগুলি হল -
- প্রথমেই দামোদর নদীর সংস্কার করা হবে। দামোদর নদীর পলির সংস্কার করা হলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
- দামোদর নদীর যেসব এলাকা বন্যাপ্রবণ, সেই সব এলাকায় পাকা কংক্রিটের বাঁধ দেওয়া হবে। এর ফলে বন্যার প্রকোপ কিছুটা হলেও কম হবে।
- দামোদর নদীর উপরের অংশ অর্থাৎ আপার রামপুর এবং হুরহুরা চ্যানেলের সংস্কার করা হবে।
- দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদী, হুরহুরা খাল, আপার রামপুর এবং লোয়ার রামপুর খালের সংস্কার করে ড্রেনেজ চ্যানেলের জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে।
এলঅ্যান্ডটি-র মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, বাংলার লোয়ার দামোদর ডিভিশনে বন্যা হল একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। প্রতি বছর এই এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে। এই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পাকাপাকি ভাবে সমস্যার সমাধান করা দরকার। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবে এলঅ্যান্ডটি। এই প্রকল্পে পরিবেশের উপর নজর রেখে, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করা হবে।