পুজোর মধ্যে এই ধরণের ঘটনা ঘটায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ট্যুইট করেছেন, 'বই কে এত ভয়!' লিখে। পাশে থাকার বার্তাও তিনি দিয়েছেন। একই রকম ভাবে টলিউডের বা ভিন্ন মহল থেকেও নানা বার্তা দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, "বই নিয়ে মতবিরোধ কেন হবে? পুজোর ভিড়ে রাজনৈতিক প্ররোচনার প্রচার নিয়ে সমস্যা। তৃণমূল কংগ্রেসের এরও স্টল আছে। দৈনন্দিন রাজনীতি বাদ। সিপিএম পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার তালে। পুজো মানে না, তা পুজোর দিন স্টল কেন? ওরা রবিবার করে স্টল করুক। বই পড়া, না পড়া নিয়ে কোনও ইস্যু হয়নি। নাটক করল ওরা।" জানা গিয়েছে, বইয়ের বিপণি ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন বিকাশ, কমলেশ্বররা। কিন্তু তা করতে গিয়েই আটক হয়ে যান পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এবং সিপিএমের নেতারা।
advertisement
আরও পড়ুন- চালের পায়েসে অরুচি? নবমীতে এবার মুখমিষ্টি শুচি হোক লুচির পায়েস দিয়ে
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা মণ্ডপ, কেঁদে ফেললেন বিধায়ক!
রাসবিহারী এভিনিউতে প্রতাপাদিত্য রোডে সিপিএমের ‘প্রগতিশীল সাহিত্য’ বিপণিতে সপ্তমীর রাতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ওই বইয়ের বিপণিতে 'চোর ধরো, জেল ভরো' পোস্টারও দেখা গিয়েছে। সিপিএম-এর অভিযোগ, সেই পোস্টার দেখেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বিপণিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
সেই ঘটনায় প্রতিবাদে অষ্টমীর দিন বিকেলে রাসবিহারী এভিনিউতে জমায়েত করেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, রবীন দেব, কল্লোল মজুমদার, গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়রা। অভিযোগ, সেই বই বিপণি আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলে গণ্ডগোল বাধে। পুলিশ সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, সিপিএমের ওই বই বিপণি খোলা নিয়ে স্থানীয় পুজো কমিটির সঙ্গে গোলমাল বাধে। প্রতিবাদ সভা ঘিরে এ দিন আবার গোলমাল হয়।