বিজেপির একাংশ একে জরুরি তলব বলেই মনে করছে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, গোটাটাই পূর্ব পরিকল্পিত সফর। ইচ্ছা করে এই বিষয় নিয়ে প্রচার চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "রাজ্যপালের দিল্লি সফর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। তা গোপন করে যাঁরা অন্য গল্প দিচ্ছেন এবং তলবজনিত চিত্রনাট্য লিখছেন, সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজভবনের উপর চাপের অপচেষ্টা বিজেপি চালাচ্ছে সেটা ঠিক। কিন্তু রাজ্যপালকে তলবের গল্প রটিয়ে দিল্লির দাদাগিরি প্রতিষ্ঠা যেন না করা হয়।"
advertisement
অন্যদিকে রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না বিজেপির কোনও নেতাই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। কেন তিনি থাকবেন না তাঁর একাধিক বিষয় তাতে উল্লেখ হয়েছে। বিশেষ করে রাজভবনে রাজ্যপালের সচিবের ভূমিকাও সেই ট্যুইট বিবৃতিতে রয়েছে। এমনকি দিলীপ ঘোষ 'ভুল মাষ্টারের কাছে হাতেখড়ি' বলেও উল্লেখ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "অসভ্য। ঈর্ষাপরায়ণ। ধনকড়ের সময় বিজেপির রাজনৈতিক কাজের অফিস বানিয়েছিল রাজভবনকে, তখন সম্মানের কথা মনে পড়েনি? রাজ্যপাল বাংলা শিখতে চেয়েছেন। বঙ্গবাসী ও বঙ্গভাষীর তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। সকলেই জানাচ্ছেনও। একমাত্র বঙ্গের বিশ্বাসঘাতকরাই এনিয়ে রাজনীতি করতে পারে।"
আরও পড়ুন, রাজ্যে ফের অমিত শাহ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোড়া সভার ইঙ্গিত কোথায় কোথায়?
আরও পড়ুন, রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান 'বয়কট' শুভেন্দুর! সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন কারণ...
তিনি আরও বলেন, "রাজ্যপালকে অপমান। বাংলা ভাষার প্রতি রাজ্যপালের আন্তরিক মনোভাবকে অসম্মান করল এই অসভ্য।
পাশাপাশি এক কৃতী দক্ষ যোগ্য মহিলা আইএএসকে অপমান করল, চাপ দেওয়ার, ভয় দেখানোর চেষ্টা করল। নিন্দা করছি। রাজভবনটাকে মামারবাড়ি ভাবছিল। নিরপেক্ষ রাজ্যপালকে কি জোর করে, চাপ দিয়ে বিজেপির অনুকূলে পক্ষপাতদুষ্ট করার চেষ্টা চলছে? গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করতে আর কিছুই বাকি রাখছে না বিজেপি। যেসব কথা শোনা যাচ্ছে তা সত্যি হলে চরম আপত্তিকর। বাংলার মানুষ লক্ষ্য রাখছেন। আবার উপযুক্ত জবাব পাবে বিজেপি।"