কিছুদিন আগেই, উত্তর পূর্ব ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতে তৃণমূলের হয়ে জনসংযোগে হাজির ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে মনস্তত্ত্ববিদ বসুন্ধরার কাজ ভালো লেগেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। তাই যুব সমাজের মুখ হিসাবেই তুলে আনা হল তাকে। ব্রাত্য বসুর সাথে ত্রিপুরার মাটিতে হাজির হয়েছিলেন ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরা।
আরও পড়ুন-একঝাঁক তরুণ মুখ, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় মন্ত্রী-বিধায়কদের সন্তানরাও
advertisement
ত্রিপুরা বিজেপি বিরোধিতায় সংগঠন ঢেলে সাজাতে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল। একটা সময় যে রাজ্যের রাজনৈতিক দখলদারি ছিল বামেদের হাতে। সেই বাম নেতার মেয়েকেই তৃণমূলের সংগঠনের হাত শক্তিশালী করতেই ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধীতায় বাম কর্মীদের কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-ফের হাজির গভীর নিম্নচাপ! সপ্তাহের শুরুতেই প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা! গতিপথ জানাল হাওয়া অফিস...
যদিও ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, "ত্রিপুরার বামেদের সাথে বাংলার বামেদের একটা পার্থক্য আছে।" আর সেই মর্মেই ক্ষিতি কন্যার ত্রিপুরার প্রতিনিধি দলে আগমন নজর কেড়েছিল। ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বামফ্রন্ট শিবিরকে উজ্জীবিত করতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বামেদের ভোট যাতে বিজেপিতে না যায় তা নিয়ে যথেষ্ট কৌশল সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বসুন্ধরা অবশ্য ত্রিপুরায় গিয়ে দেখা করেছিলেন দলীয় কর্মীদের সাথে। বিশেষ করে মহিলাদের সাথে তিনি কথা বলছেন।ত্রিপুরার আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি কথা বলেছেন৷ জানার চেষ্টা করেছেন সেখানের মানুষের অসুবিধা। একেবারে মাটিতে থেকেই বাস্তব অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছেন বসুন্ধরা।
দলের এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন, বাবা মন্ত্রী ছিল বলে, আলাদা কোনও গরিমা বসুন্ধরার নেই। ও একেবারেই মাটিতে থেকে অবস্থা বোঝার কাজ করে। কিছুদিন আগেই বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলায় লিখে সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছেন। দলের কোপে পড়েছেন তিনি।
অজন্তা বিশ্বাসের পাশে দাঁড়িয়ে লেখা লিখেছেন বসুন্ধরা গোস্বামী৷ তিনি তৃণমূলের মুখপত্রে লেখেন, "এটা বাস্তব যে বাংলার রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে কোনও লেখা হলে তা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না।" ফলে প্রয়াত বাম নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রীর কন্যা হলেও তার রাজনৈতিক অবস্থান তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে তাই পুর ভোটে তাকে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস।