নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে গবেষণা, বিশ্লেষণ, তর্ক-বিতর্ক রয়েছেই। ১৯৪৫-এর আঠেরোই অগাস্ট। বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ ওয়েবসাইট www.bosefiles.info গোপন ফাইল প্রকাশ করে এই দাবিই করছেন সাংবাদিক আশিস রায়। ১৯৫৬ সালে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ভারত সরকার। সেই কমিটির সামনে বয়ান দিয়েছিলেন বিমানে নেতাজির সফরসঙ্গী কর্নেল হবিবুর রহমান খান-সহ বেশ কয়েকজন। উনিশশো পঁয়তাল্লিশের আঠেরোই অগাস্ট জাপানের বায়ু সেনার বোমারু বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন নেতাজি। প্রকাশিত গোপন তথ্য অনুযায়ী, তদন্ত কমিটিকে কর্নেল হাবিবুর রমহান জানান, 'বিমানে বিস্ফোরণের পর নেতাজির জামা কাপড় আগুনে জ্বলছিল। মাটিতে নেতাজিকে শুইয়ে দিতেই লক্ষ্য করলাম তাঁর মাথার বাঁ দিকে বড় ক্ষত। তাঁর মুখ আগুনে ঝলসে গেছে' ৷ কর্নেল হাবিবুরের বয়ান অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতেও তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছিলেন নেতাজি। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাবিবুরকে নেতাজি বলেন 'আপনি যখন দেশে ফিরবেন, তখন দেশের ভাইদের বলবেন যে আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি। স্বাধীনতার জন্য ওরা যেন লড়াই চালিয়ে যায়। ভারত স্বাধীন হবেই। কেউ ভারতকে পরাধীন করে রাখতে পারবে না ৷’ হাবিবুর রমহান ছাড়া দুর্ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন লেফটান্যান্ট কর্নেল নোনোগাকি ৷ তদন্ত কমিটির সামনে তার গোপন বয়ান তিনি জানান, 'নেতাজির জামাকাপড় আগুনে পুড়ছিল। সহকারী হাবিবুর রহমান খান নেতাজির গায়ের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন ৷’
advertisement
কর্নেল রহমান, লেফটান্যান্ট কর্নেল নোনোগাকি, মেজর কোনো বা ক্যাপ্টেন নাকামোরা। সকলের বয়ানেই একটা বিষয় স্পষ্ট। বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল। তাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন নেতাজি। চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্থানীয় সেনা হাসপাতালে ভরতিও করা হয়েছিল। কিন্তু, এর পর কি? নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য কোন পথে ? এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারির ১৬ তারিখ পর্যন্ত। এদিন আরও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সামনে আসবে বলেই জানিয়েছে ওই ব্রিটিশ ওয়েবসাইট।