যদিও তার কোনওটাই বাস্তব সম্মত প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়নি৷ ধীরে ধীরে ট্রাম সংস্থার ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে ট্রাম রুট, ট্রাম লাইন, কর্মী আর বিনিয়োগ ঘিরে। মেট্রোর কাজের জন্য যে ট্রাম লাইন তোলার কাজ বেহালা দিয়ে শুরু হয়েছিল তার প্রভাব অব্যাহত থাকল শেষ পর্যন্ত৷
আরও পড়ুনঃ কাচ বা স্টিল নয়, সস্তার ‘এই’ থালায় খাবার খান! ক্লিন বোল্ড শরীর খারাপ! সারাদিনই টানটান উত্তেজনা
advertisement
শহর কলকাতায় ২০১১ সালে মোট ৩৭’টি রুটে ট্রাম চলত। ২০১৩ সালে সেই রুট কমে ২৭ টি হয়ে যায়। ২০১৭ সালে ট্রামের রুট কমে দাঁড়িয়ে যায় মাত্র ১৫ টি৷ ২০১৮ সালে ট্রামের রুট কমে দাঁড়িয়ে যায় আটটি। আর কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ট্রাম রুটের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২ টি। ২০১১ সালে ট্রাম পরিচালনায় ৭০০০ কর্মী কাজ করতেন। ২০১৩ সালে ট্রাম পরিচালনায় ৫৬০০ কর্মী কাজ করতেন। ২০১৭ সালে ট্রাম পরিচালনায় ৪১০০ কর্মী কাজ করতেন। ২০১৮ সালে কাজ করতেন ৩৭০০ কর্মী। আর ২০২২ সালে সেই কর্মীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়ে যায় শূন্য।
শহর কলকাতায় ২০১১ সালে ৬১ কিমি ট্রাম লাইন ছিল। ২০১৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়ে যায় ৪৩ কিমি। ২০১৭ সালে ২২ কিমি ট্রাম লাইন ছিল। ২০১৮ সালে ১৫ কিমি ট্রাম লাইন ছিল। আর কোভিডের পরে সেটা গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় মাত্র ১২ কিমি।২০১১ সালে ট্রামে চাপত ৭০ থেকে ৭৫ হাজার যাত্রী৷
২০১৩ সালে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত। ২০১৭ সালে ট্রামে ওঠানামা করত ২০ থেকে ২১ হাজার যাত্রী৷ ২০১৮ সালে তা একটু কমে দাঁড়ায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী৷ আর কোভিডের পরে ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়ে যায় মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজারে। ২০১১ সালে ট্রাম পরিচালনায় বিনিয়োগ হত ৫ কোটির বেশি৷ ২০১৩ সালে বিনিয়োগ হত তিন কোটির বেশি৷ ২০১৭ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় এক কোটির বেশি৷ আর ২০১৮ সাল থেকে ট্রামে বিনিয়োগ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।