হাওড়া থেকে দমদম এয়ারপোর্টে যাওয়ার ক্যাবের ভাড়া ১০০০ ছুঁল। এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে যাত্রীদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে বহু ক্ষেত্রেই যাত্রীদের বাধ্য হয়েই ধরতে হচ্ছে ট্যাক্সি।
শহরের নানা প্রান্তের যে ছবি উঠে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভাড়ার অঙ্ক দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি। হাওড়া স্টেশন ট্যাক্সি স্ট্যান্ড সকাল থেকেই ফাঁকা হয়ে আছে। কাউন্টারে কর্মী থাকলেও দেখা নেই ট্যাক্সির।
advertisement
আরও পড়ুন- 'আস্ত একটা আলুভাতে, বিজেপি কর্মীরা শুনুন, শুভেন্দুর দমই নেই', প্রবল কটাক্ষ কুণালের
শাটল হিসাবে অবশ্য ট্যাক্সির দেখা মিলছে।আর তাদের ভাড়াই আকাশছোঁয়া। হাওড়া থেকে টি-বোর্ড ৮০ টাকা। কে সি দাসের সামনে আসলে ১২০ টাকা। পার্ক স্ট্রিটের সামনে আসলেই ভাড়ার অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেছে ১৫০ টাকা। হাজরা, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জের মতো জায়গায় যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি পাওয়া গেলে তার ভাড়া ছুঁয়ে গেছে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা অবধি।
শ্যামবাজার, আর জি কর, বেলেঘাটা, লেকটাউনের ভাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। এত টাকা ভাড়া কেন? ট্যাক্সি চালকদের বক্তব্য, অন্যান্য দিন এত যাত্রী পাওয়া যায় না। আজ পাওয়া গেছে তাই বাড়তি লাভের আশায় যে যার খুশি মতো ভাড়া হেঁকে চলেছেন।
ধর্মতলা, বড়বাজার, পার্ক স্ট্রিটের মতো রাস্তায় যারা যাচ্ছেন ট্যাক্সিতে তাদের কমপক্ষে চার জন যাচ্ছেন। মাথা পিছু সেই ট্যাক্সিতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০০ করে৷ ফলে যে দূরত্বের জন্য ৫০ টাকা খরচ হত কোনও পরিবারের, তাঁদের গুনতে হচ্ছে ৪০০ টাকা।
আরও পড়ুন- বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন রাস্তায় বাসের দেখা নেই, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
একই অবস্থা অ্যাপ ক্যাব যাত্রীদের। সারচার্জ অন্যান্য সময়ের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি। যার ফলে চূড়ান্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে ক্যাব ব্যবহারকারীদের৷ বহু ক্ষেত্রে ক্যাব বাতিলের অভিযোগও এসেছে৷