শুক্রবার মৃত্যু হয় নাকতলার বাসিন্দা ১৭ বছরের স্নেহাংশু সেনগুপ্তর। ১১ তারিখ অসুস্থ অবস্থায় স্নেহাংশুকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকলে, ২০ তারিখ তাকে স্থানান্তরিত করা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। আজ মৃত্যু হয় স্নেহাংশুর। এর পরই পিসতুতো দিদি ইন্দ্রাণী গুপ্ত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাবা ওষুধের ওভারডোজ দিয়ে 'খুন' করেছে ছেলেকে! নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে, দেহ শ্মশান থেকে পাঠানো হয় মর্গে। আগামিকাল ময়নাতদন্ত হবে।
advertisement
স্নেহাংশুর পিসতুতো দিদি ইন্দ্রাণী গুপ্ত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, '' স্নেহাংশুর বাবা শিশির কুমার সেনগুপ্ত দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, ছেলেকে খুব অত্যাচার করতেন।''
এদিকে শিশিরবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী রূপশ্রী সেনগুপ্ত জানান, স্নেহাংশুর স্নায়ুজনিত রোগ ছিল, তবে কোনও ওষুধ খেত না। অভিযোগের তীর যে শিশির কুমার সেনগুপ্তর দিকে, তাঁর পালটা অভিযোগ, বোন ইন্দ্রাণী তাঁর ছেলেকে নিয়ে নিতে চাইত। নানা মন্ত্রণা দিত, ফলে ছেলে বাড়িতে প্রচণ্ড অশান্তি করত।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশিরবাবু বর্তমানে কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। অতীতে সৌদি আরবে একটি বেসরকারি সংস্থায় ম্যানেজার পদে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। স্নেহাংশুর দিদি শ্রীপর্ণা বলেন, মা মারার যাওয়ার পর ২ বছরের জন্য দুই ভাই-বোন পিসির বাড়িতে থাকত। ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে ইন্দ্রানী যা অভিযোগ করছে তা সব-ই 'মিথ্যা' বলে দাবি দিদির। শ্রীপর্ণা আরও জানান, ওই দু'বছরে বিদেশ থেকে বাবা ২২ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছিলেন পিসিকে। কিন্তু শ্রীপর্ণার দাবি, পিসি নাকি তাদের বলতেন, বাবা কোনও টাকাই পাঠান না।
থানার আধিকারিকরা জানান, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
SHANKU SANTRA