আরও পড়ুন- উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে মনোনীত করল বিজেপি!
আসলে ই-কমার্স গাড়ি বলতে বোঝানো হয় পণ্যবাহী গাড়ি। আর তা থেকে বেড়ে চলা দূষণ নিয়েই চিন্তায় পরিবেশবিদরা। কেন ই-কমার্সের গাড়ি থেকে এতটা দূষণ ছড়াচ্ছে? পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ জানাচ্ছেন, "কোভিড অনেক কিছু অভ্যাস বদলে দিয়েছে। সেই অভ্যাস বদলের একটা প্রভাব অবশ্যই পড়েছে পরিবেশে৷ এই সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গাড়ি প্রথমে বন্দর থেকে আসে তাদের একটা মেজর হাবে। সেখান থেকে তা যায় ওয়্যার-হাউজে। সেখান থেকে তা যায় কোনও গোডাউনে৷ সেখান থেকে গ্রাহকের বাড়িতে যায়। এই গোটা চেন চলে পণ্যবাহী গাড়ি, চার চাকার ছোট পণ্যবাহী গাড়ি ও দু'চাকার যানের উপরে।"
advertisement
সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ বলেন, "এর মধ্যে দু'চাকার যান সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করে। কারণ পেট্রোলে চলার কারণে দূষণ বেশি হয়৷ আর বাকি পণ্যবাহী গাড়ির মধ্যে, অনেক গাড়ি পুরনো। ট্রাফিক বা পরিবহণ বিভাগ কোনও পরীক্ষা করে না। ফলে দূষণ ছড়াতে থাকে। নজরদারির ফাঁক গলে চলতে থাকে এই সব গাড়ি।"
আরও পড়ুন- ২০০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার দোরগোড়ায় ভারত! ৭৫ দিনের জন্য বিনামূল্যে বুস্টার!
রিপোর্টে উল্লেখ হয়েছে ডেলিভারি পিছু কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের হার যেখানে বিশ্বে ২৪০ গ্রাম করে৷ কলকাতায় সেই হার গিয়ে ছুঁয়েছে ২৮৫ গ্রাম করে৷ ফলে কলকাতা কার্যত পণ্যবাহী গাড়ির দূষণে সমস্যায়। এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায় অবশ্য রয়েছে এমনটাই বলছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
খড়গপুর আই আই টি'র অধ্যাপক তথা পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ভার্গব মৈত্র্য জানাচ্ছেন, "আরও বেশি করে ই-কার ব্যবহার করতে হবে। সিএনজি বা ইলেকট্রিক গাড়ি চলাচল করলে দূ্ষণ ছড়াবে না। আর লাস্ট মাইল ডিরেকশন বা বাড়িতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ই-কমার্স সংস্থার উচিত বাই সাইকেল ব্যবহার করা৷ তবে এই কাজ একা তাদের দিয়ে হবে না৷ সরকারকেও সাইকেল লেন বা ই-ভেহিক্যালস ব্যবহারের পরিকাঠামো প্রস্তুত করতে হবে।" দূষণের মাত্রা যে বিপদজনক তা নিয়ে চিন্তিত কলকাতার মহানাগরিক নিজেও। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আমরা সিএনজির দিকে ঝুঁকেছি। আরও বেশি করে ই-ভেহিক্যালস ও রাজ্যে চলবে৷ আর সরকার পনেরো বছরের পুরানো গাড়ি বাজেয়াপ্তও করছে।