১লা এপ্রিল থেকে নতুন রেটে পার্কিং ফি শহর জুড়ে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কলকাতায় পার্কিং ফি।
*কতটা বাড়লো পার্কিং ফি*
*বাইক /স্কুটি দু চাকার যানের জন্য কত হল চার্জ*
★আগে
* প্রতি ঘণ্টায় মোটরবাইক রাখার জন্য দিতে হত ৫ টাকা।
★এখন
*প্রথম-এক-ঘণ্টায় মোটরবাইক রাখার জন্য ১০ টাকা।
* দুই ঘণ্টার জন্য দিতে হবে ২০ টাকা।
advertisement
* তিন ঘণ্টার জন্য ৪০ টাকা।
* চার ঘণ্টার জন্য ৬০ টাকা।
* পাঁচ ঘণ্টার জন্য ৮০ টাকা।
* পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে, পরবর্তী ঘণ্টা পিছু দিতে হবে ৫০ টাকা করে।
*চারচাকা গাড়ির জন্য*
★আগে..
*চারচাকা গাড়ির জন্য ঘণ্টায় ১০ টাকা পার্কিং ফি দিতে হত।
★এখন
* প্রথম এক ঘণ্টার জন্য ২০ টাকা।
* দু'ঘণ্টার জন্য ৪০ টাকা।
* তিন ঘণ্টার জন্য ৮০ টাকা।
* চার ঘণ্টার জন্য ১২০ টাকা।
* পাঁচ ঘণ্টার জন্য ১৬০ টাকা।
*পাঁচ ঘন্টার বেশি হলে ঘণ্টা পিছু অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে।
*বাস ও পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও বেড়েছে পার্কিং চার্জ।*
★আগে
* ঘণ্টাপিছু পার্কিং ফি ছিল ২০ টাকা।
★এখন
* প্রথম ঘন্টার জন্য হয়েছে ৪০ টাকা।
*দু'ঘণ্টার জন্য ৮০ টাকা।
*তিন ঘন্টার জন্য ১৬০ টাকা।
* চার ঘণ্টা বাস বা লরির জন্য ২৪০ টাকা।
* পাঁচ ঘণ্টার জন্য ৩২০টাকা।
*পাঁচ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিছু অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে।
এবার আসা যাক স্মার্ট পার্কিং-এর প্রসঙ্গে। পার্কিং ফি বাড়ানোর পাশাপাশি নিশ্চিত পার্কিংয়ের জন্য ব্যবস্থা করছে কলকাতা পৌরসভা। কলকাতা পৌরসভা ও কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে অ্যাপ। কিভাবে কাজ করবে এই গোটা ব্যবস্থা?
আরও পড়ুন- '৫ কোটি টাকা নিয়েছেন দেব...' হিরণের দাবির উত্তরে মুখ খুললেন TMC সাংসদ!
★ প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন গাড়ির চালক। বিপরীত দিকে পার্কিং লটে থাকা এজেন্টের মেশিনেও এই অ্যাপ ডাউনলোড থাকবে।
★বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে কিংবা তার আশেপাশে কোথায় পার্কিং লট ফাঁকা রয়েছে, তা অ্যাপের মাধ্যমেই দেখতে পারবেন চালক।
★ পার্কিং লটে গিয়ে গাড়ি রাখার সময় এজেন্টকে দিতে হবে ফোন নম্বর। ‘ই-পস’ মেশিনে সেই ফোন নম্বর দেওয়ার পর জেনারেট হবে পার্কিং স্লিপ। সেখানে কোন সময় গাড়ি ঢুকল, সেই তথ্য থাকবে।
★ গাড়ি বেরোনোর সময় ফের বিল তৈরি হবে। ‘ই-পস’ মেশিন থেকে বেরোবে স্লিপ। গোটা প্রক্রিয়া কলকাতা পুরসভার সার্ভারে ধরা পড়বে।
★কোনও নগদ লেনদেন হবে না। স্লিপ তৈরি হওয়ার পর বারকোড স্ক্যান করে, ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডে টাকা মেটাতে হবে। কিংবা মোবাইলে এসএমএস লিঙ্কের মাধ্যাম যে কোনও অনলাইন পেমেন্টস অ্যাপ মারফৎ টাকা মেটানো যাবে।
★ তবে, অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু অনলাইনে টাকা মেটানো বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে গাড়ির চালকের কাছে কোনও অনলাইন পেমেন্টস অ্যাপ না থাকলেও হবে। তিনি ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডে টাকা মেটাবেন। বা স্মার্ট ফোন থাকলে মালিক কিংবা অন্য কারও নম্বর দেবেন। তার নম্বরে পেমেন্টের এসএমএএস লিঙ্ক যাবে।
ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড কিংবা কিউআরকোড স্ক্যান করে মেটাতে হবে পার্কিং ফি। কলকাতার রাস্তায় পার্কিং লটে এই ডিজিটাল ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করল কলকাতা পুরসভা।
শহরের রাস্তায় পুরসভা অনুমোদিত পার্কিং লটে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ নতুন নয়। পাশাপাশি, বেআইনি পার্কিং নিয়েও শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর অভিযোগ। এই সমস্যার সমাধানে এবার বাধ্যতামূলকভাবে চালু হচ্ছে ‘ই-পস’ সিস্টেম। নগদ টাকায় আর বিল মেটানো যাবে না। সবটাই হবে ডিজিটালি।
পার্কিং এর দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, কোনও পার্কিং লটে কটা গাড়ি রাখার জায়গা আছে, তা আমাদের সার্ভারে থাকছে। সেক্ষেত্রে যখন সংশ্লিষ্ট পার্কিং লটে কোনও বাইক বা গাড়ি ঢুকবে সঙ্গে সঙ্গে তা সার্ভারে নথিভুক্ত হয়ে যাবে। যখন বেরোবে সেই সময়টিও সার্ভারে ধরা পড়বে। সেই অনুযায়ী ই-পস মেশিনে ডিজিটাল ব্যবস্থায় স্লিপ জেনারেট হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট অর্থই দিতে হবে। অনলাইনে কারচুপি করার সুযোগ কম।
উল্লেখ্য, ১২ বছর পর বেড়েছে পার্কিং ফি। এবার সেই পথে হেঁটেই নয়া সংযোজন— ডিজিটাল ব্যবস্থা। যে এজেন্সি পার্কিং লটের দায়িত্ব আছে, তাদের এই সিস্টেম বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। যে পার্কিং লটে ‘ই-পস’ মেশিন থাকবে না, সেগুলি বেআইনি বলে গণ্য হবে।