নির্বাচনী প্রচার, পার্টির নানা কর্মসূচির জন্য কৌটো হাতে অথবা লাল শালু ঝুলিয়ে সম্প্রতিও একাধিক ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহের জন্য পথে দেখা গিয়েছে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীদের। রাজ্যে পালা বদলের পর ধীরে ধীরে আর্থিক ভাবে দুর্বল হয়েছে সিপিএম। দলের বহু কর্মী সমর্থকেরা হয় বসে গিয়েছে নয়তো অন্য দলে নাম লিখিয়েছে। ফলে দলে লেভি অনেকটাই কমেছে। অন্যদিকে, দলের একাংশ কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা দলকে অর্থ সাহায্য করতে পারেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজারহাটের হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, জরিমানা স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের
এই মাধ্যম চালু হওয়ায় সেই অংশের মানুষেরা দলের তহবিলে টাকা পাঠাতে পারবে এমনটাই মনে করছে দল দলের আয় কমায় খরচের ক্ষেত্রেও অনেক কাটছাঁট করতে হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে বরাবর আমজনতার কাছে থেকে লাল শালুতে বা কৌটো ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহ করা নিয়ে বিরোধীদের খোঁচাও খেতে হয়েছে তাঁদের। যদিও এ নিয়ে সিপিএম নেতৃত্ব বারবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে শুধু তহবিল শক্তিশালী করা নয়, আমজনতার সঙ্গে জন সংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মহম্মদ সেলিম সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ডিজিটাল মাধ্যমের উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাসকের স্ট্র্যাটেজিতেই এবার কৌশল বানাচ্ছে CPIM, মহিলা মুখেই মাত চায় ভোটে
আর কয়েকমাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন বলে মনে করছে সিপিএম নেতৃত্ব। তার আগে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নামার কৌশল নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও দলকে ভাল জায়গায় রাখতে মরিয়া সিপিএম। দলের রাজ্য কমিটির এক নেতার কথায়, "নির্বাচনে খরচ অনেক বেড়েছে সেই তুলনায় আয় অনেকটাই কমেছে। তাই আর্থিক ভাবে দলকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি ছিল। আগে যে রকম পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করা হতো সেগুলে তো থাকছেই। নতুন পদ্ধতিতে সেই জায়গাটা আরও ভাল হবে আশা করি।"