রোজের মত বিকাল পাঁচটায় ব্যাঙ্ক (Beck Bagan Bank Dacoity) বন্ধ করার কথা সবারই জানা, ওই দিন বন্ধ করার আধঘন্টা আগেই এক ব্যক্তি মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পড়ে ঢুকেছিলেন। সিসি ক্যামেরায় মোড়া ব্যাঙ্কের নিরাপদ স্থান হিসাবে সে বেছে নেয় ব্যাঙ্কের মধ্যে থাকা শৌচাগার। সোমবার বিকাল পাঁচটার পরে ব্যাঙ্ক বন্ধ হতে প্রায় রাত এগারোটা পর্যন্ত শৌচাগারেই থেকে যায় অভিযুক্ত।
advertisement
সিসি ক্যামেরায় (Kolkata News) দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি শৌচাগার থেকে প্রায় রাত এগারোটা নাগাদ বেরিয়ে আসে। বন্ধ ব্যাঙ্কের মধ্যে একা থাকার সুযোগ নিয়ে সোজা চলে যায় ভল্টের কাছে। ঋনের বদলে বন্দক রাখা আড়াই কেজি সোনার খবর আগেই ছিল বলে অনুমান করছেন পুলিশ আধিকারিক। সেই আগাম খবর থেকেই অভিযুক্ত ব্যাক্তি ভল্টের সামনে থাকা সিসি ক্যামেরায় ঢাকা দেয় কালো কাপড় (Beck Bagan Bank Dacoity)।
সিসি ক্যামেরার দৃশ্যমানতা ব্যাহত করে ভল্টে থাকা নিদিষ্ট জায়গা থেকে দেড় কেজি সোনা নিয়ে নেয় অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর ভল্ট ভাঙার জন্য কাটার ব্যবহার করা হয়, যা দেখা যায় সিসি ক্যামেরায়। সোমবার রাতে সোনা চুরি করে ফের নিরাপথ স্থান শৌচাগারের মধ্যেই আশ্রয় নেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। মঙ্গলবার সকালে রোজের মত আটটা পঞ্চাশে ব্যাঙ্ক খোলার পরেই শৌচাগার থেকে দশ মিনিট পরে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট পড়ে সকাল ন'টায় ব্যাঙ্ক থেকে সোনা নিয়ে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। মঙ্গলবার দিনভর ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ বা কর্মীদের নজরে না এলেও বুধবার ফের সোনার প্রয়োজন হয় ব্যাঙ্কের কর্মীর। বুধবার ওই ভল্টের কাছে যেতেই দেখা যায় সেই আড়াই কেজি সোনা গায়েব। যে জায়গায় সোনা রাখা ছিল সেখানে ভাঙা অবস্থা, এই দেখে খবর যায় কতৃপক্ষের কাছে।
পুলিশ পুরো বিষয়টি শুনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অনেকটাই স্পষ্ট হয় ঘটনা সম্পর্কে। বুধবার অভিযোগ দায়ের হবার পরে বৃহস্পতিবার দিনভর সিসি ক্যামেরার বিশ্লেষণ ও ব্যাঙ্কের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলে সারাদিন। পুলিশ তদন্তে এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে বেশকিছু ব্যক্তিকে সন্দেহ করছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মী ও ব্যাঙ্কের ভল্টের দায়িত্বে থাকা কর্মীর সঙ্গেও কথা বলছেন কড়েয়া থানার তদন্তকারী আধিকারিক।