দুর্গাপুজোর উৎসব মানেই ভুরিভোজ। উৎসবের দিনগুলিতে রেস্তরাঁ থেকে মণ্ডপের স্টলগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। পুজোর মরশুমে এই খাবার কতটা নিরাপদ তা যাচাই করতে পথে নামবে পুরসভা। কলকাতা পুরসভার খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধ বিভাগের আধিকারিকেরা পুজোর দিনেও থাকবেন রাস্তায়। খাবারে ভেজাল মেশানো হচ্ছে কি না সে দিকে যেমন নজর থাকবে তেমনই জলের ওপর নজরদারি চালানো হবে।
advertisement
খাবার ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা জলের ভেজাল রুখতে শহরজুড়ে অভিযানে নামতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। খাবার এবং তার উপকরণের মান যাচাই করবে পুরসভা। বিভিন্ন খাবারের দোকানে পানীয় জলের যে সংযোগ রয়েছে তারও নমুনা পরীক্ষা করবে নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে।
খাবারে ভেজাল রুখতে সারাবছরই পুরসভার অভিযান চলে। উৎসবের মরশুমে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পুজো দিনগুলিতেও হোটেল, রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে মণ্ডপ চত্বরে থাকা খাবারের স্টলগুলিতে সরেজমিনে দেখেন পুরসভার ফুড সেফটি আধিকারিকরা।
অন স্পট খাবারের নমুনা পরীক্ষা করতে রাস্তায় থাকে ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরিও। এবার খাবারের সঙ্গে রান্নার জল কতটা স্বাস্থ্যকর, তা পরীক্ষা করা হবে। যেসব উপকরণ দিয়ে খাবার তৈরি হচ্ছে সেগুলি স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা পরীক্ষা করে দেখবেন অফিসাররা।
আরও পড়ুন: রেড রোডে মঞ্চ থেকে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ মমতার! মুখ্যমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেন তপতী গুহঠাকুরতাকে
পুরসভা সূত্রে খবর লোকবলের অভাবে এই পরিকল্পনা কতটা ব্যাপক ও বিস্তৃত করা যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ।
পুরসভায় ফুড সেফটি নিয়ে একটি বৈঠক হয়। কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাকর ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য কর্তারা ছিলেন বৈঠকে।
আলোচনায় ঠিক হয়েছে, খাবার এবং উপকরণের পাশাপাশি রান্নার জলেরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে। কতদিন ধরে জলের ট্যাঙ্ক সাফ করছেন না, তা পুরসভার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু রান্নায় সেই জলই ব্যবহার হচ্ছে। তাই রান্নার জলেরও গুণমান পরীক্ষা করবে পুরসভা।
আরও পড়ুন: মমতার গানে পা মেলালেন শুভশ্রী-সায়ন্তিকা, রেড রোড আজও যেন বড্ড বেশি রঙিন
ভেজাল রুখতে এই অভিযান বাস্তবে কতটা সাফল্য পাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আধিকারিকদের একাংশের। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে অনুমোদিত ফুড সেফটি অফিসারের পদ রয়েছে ৩২টি। কিন্তু এখন পুরসভার হাতে রয়েছেন মাত্র ১৬ জন আধিকারিক। পুজোর সময় সকলকে কাজে লাগানো যাবে না। ফলে এই অভিযান কতটা জোরদার হবে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।