বেআইনি বাড়ি কিনে গ্রাহকরা যাতে প্রতারিত না হন, তার জন্য কলকাতা পুরসভার নতুন পদক্ষেপ।
কলকাতার সমস্ত বেআইনি বাড়ির তালিকা ওয়েবসাইটে তুলবে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
অসাধু প্রোমোটারদের চক্র ভাঙতে কলকাতা পুরসভার এই পদক্ষেপের কথা জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- হরিদেবপুরের পর আবার, রাজাবাজারের রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কিশোরের
advertisement
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। তবু বর্তমানে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা নাকি বেশ খানিকটা কম বলেই দাবি পুরসভার। মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে একাধিক ছাড় দিয়েছেন। তবু প্রমোটারদের একাংশের বেআইনি কাজকর্মের জেরে ভুগতে হচ্ছে ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের।
এবার সংশ্লিষ্ট জমি থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট, সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। গাঁটের কড়ি দিয়ে যিনি ফ্ল্যাট কিনবেন, তাঁকে যাতে আর হয়রানির মুখে পড়তে না হয়, সেই ব্যবস্থা করছে পুরসভা। টক-টু-মেয়র অনুষ্ঠানের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই নির্দেশ দেন।
২রা জুলাই টক টু কেএমসি অনুষ্ঠানে এক নাগরিক অভিযোগ করেন, আমরা ফ্ল্যাট নিয়েছি, কিন্তু সম্পত্তি কর দিতে পারছি না। আলোচনায় উঠে আসে কাগজপত্রে ও নিয়মের নানা সমস্যায় কর দিতে পারছেন না তাঁরা। বাড়িটি সম্ভাব্য বেআইনি।
এর পরেই মেয়র বলেন, বেআইনি নির্মাণ যেমন অপরাধ, সেই বাড়ি কেনাও সমান অপরাধ। তবে ওই নাগরিকের মতো অনেকেই জানেনই না যে তিনি যে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন তা বেআইনি।
এই তথ্য শুনে ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ বলেন, বহু ক্ষেত্রে প্রমোটাররা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বেআইনি নির্মাণের তথ্য চেপে বিক্রি করে দেয়। তাই এবার নির্মাণ ও ফ্ল্যাট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে দিতে হবে। যাতে যে ফ্ল্যাট কিনছেন তিনি বুঝতে পারেন, ওই ফ্ল্যাটের আইনি কাগজ আছে কি না!
সম্পত্তিকর নিয়েও উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ। নো ডিউ সার্টিফিকেট নিয়ে আরো বেশি করে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এই সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় ভাল করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন করমুল্যায়ন বিভাগের কর্মী আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন- ২১ জুলাইয়ের প্রচারের গাইডলাইন তৃণমূলের, কড়া নির্দেশ জেলাকেও
ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমাদের কলকাতা পুরসভার একটা গাফিলতি আছে, আমরা নো অবজেকশন দ্রুত দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে অ্যাসেসমেন্ট-ই হয়নি সেই সম্পত্তির।
করোনার টীকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন, বয়স্ক যারা ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। অনেক মানুষ বুস্টার ডোজ নিতে আসছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের ভূল নির্দেশে জন্য আমরা ডোজ থাকলেও দিতে পারছি না।