সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভাতে ৭৭ পাম্পিং স্টেশনে, ৪১৫ পাম্প রয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাম্প সক্রিয় রাখা হয়েছে কলকাতার জল নিষ্কাশনের জন্য। পাম্পিং মেশিন সক্রিয় রাখার পরেও কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল জমে পুর প্রশাসনের কর্তাদের অস্বস্তি তৈরি করছে। যে কারণে কলকাতার সংশ্লিষ্ট অংশগুলি ৬৫০-৭০০ পোর্টেবল পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বৃষ্টি শুরু হতেই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা আটকাতে সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার।
advertisement
আরও পড়ুন: 'অশনি' নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুরসভা, বিপর্যয় মোকাবিলায় কী কী উদ্যোগ নেওয়া হল?
প্রতিবছর জল জমা হলে বাতিস্তম্ভ থেকে খোলা থাকা তার থেকে দুর্ঘটনার খবর আসে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে কলকাতা পুরসভা আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিল, বৃষ্টি শুরু হতেই শহরের কলকাতা পৌরসভার অন্তর্গত যাবতীয় ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভার নিজস্ব যে বাতিস্তম্ভগুলো রয়েছে, সেগুলিতে কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে না। এ ছাড়া আজকের বৈঠক থেকে সিইএসসি-কে বলে দেওয়া হয়েছে, তারা যেন তাদের বাতিস্তম্ভের থেকে বেরিয়ে থাকা খোলা তার গুলি আজ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে নেয়। কলকাতা পুরসভা গতকাল বিকেল থেকে শহরের সবকটি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের অবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে যেখানে যেখানে অবস্থা খারাপ সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আজ পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার জানালেন। সিইএসসি, পূর্ত দফতরের বাতিস্তম্ভ কলিজাতে সঠিক সময় সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা নিয়ম এ দিন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াচ্ছে 'অশনি', বিপর্যয় মোকাবিলায় কলকাতা-হাওড়ায় কন্ট্রোলরুম, জানুন নম্বর...
এ ছাড়াও কলকাতার সবকটি বরোতে প্রতিটি বিভাগের পৃথক পৃথক বিভাগের কর্মীদের বিপর্যয় মোকাবিলা জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। সবকটি বরোতে খাদ্য, ত্রিপল, জল সহ যাবতীয় ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবকটি জল প্রকল্পের সম্পন্ন জেনারেটর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেনারেটর থাকবে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন এবং অন্যান্য জরুরিকালীন পরিষেবার স্থানগুলোতেও।
জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন সক্রিয়। কলকাতা পুরসভার হাতে এসেছে দুটি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টিম। তাদেরকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গায়। কলকাতা পুরসভার কর্মীদের সঙ্গেও তারা যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে আজ থেকে পুরসভার কর্মীরা থাকবেন। বিভিন্ন জায়গায় থাকবে অ্যাম্বুলেন্স।
UJJAL ROY