এদিকে, প্রায় বছর ঘুরতে চলায় ইতিমধ্যেই রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্রের মেয়াদ ফুরিয়েছে। বিধি অনুযায়ী, ওই পথে পরিষেবা শুরু করতে ফের ছাড়পত্র নিতে হবে। যদিও মেট্রোর কর্তাদের দাবি, তাতে সমস্যা হবে না। নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথে সিগন্যালিং ব্যবস্থা সংস্কারের পরে কম সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে দাবি। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক চালক, রেক এবং কর্মীর অভাবে সেই ব্যবধান কতটা কমানো সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।
advertisement
পঁয়তাল্লিশ মিনিট (৪৫ মিনিট) নয়, নিউ গড়িয়া-রুবি লাইনে সম্ভবত ১০ মিনিটের ব্যবধানে মেট্রো চলবে। অর্থাৎ জোকা-তারাতলা লাইনে যেরকম ‘ওয়ান-ওয়ে ট্রেন’ সিস্টেমে পরিষেবা মিলছে, সেরকম হবে না নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) নিউ গড়িয়া-রুবি অংশে। বরং ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল ব্যবহার করেই ওই অংশে বাণিজ্যিকভাবে মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল যে ‘ওয়ান-ওয়ে ট্রেন’ সিস্টেমের মাধ্যমে নিউ গড়িয়া-রুবি অংশে বাণিজ্যিকভাবে মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হবে। অর্থাৎ একটি মেট্রো নিউ গড়িয়া থেকে রুবি যাবে। সেটিই রুবি থেকে নিউ গড়িয়ায় ফিরে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রক্রিয়ায় মেট্রো চালালে দু’টি পরিষেবার মধ্যে ব্যবধান বেশি হত। সেক্ষেত্রে পরিষেবা চালু করলেও আদৌও বেশি সংখ্যক মানুষ সেই মেট্রো ব্যবহার করতেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল।
গত ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই অংশের মেট্রো উদ্বোধন করবেন বলে তোড়জোড় শুরু হলেও শেষপর্যন্ত সেটা হয়নি। ফলে হাতে বাড়তি সময় পেয়ে গিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল ব্যবহার করেই নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেমেট্রো রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, যে এখন যেহেতু নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন হয়নি। তার আগেই ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ায় এর মাধ্যমেই ওই অংশে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা চালু করা হবে। সেইমতো নির্দেশ দিয়েছেন চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার জনককুমার গর্গ।