শুক্রবার পার্পেল লাইনের মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনের পর এমনটাই জানালেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি। এটা ছাড়াও, ২০২৬ সালেের মধ্যে জোকা থেকে বিবাদিবাগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পার্পল লাইনের মেট্রো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার কাজ দেখে আর ফেরা হল না, মেমারিতে মর্মান্তিক পরিণতি তৃণমূলের শুভেন্দুর!
জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো চলাচল শুরু হলেও যাত্রীদের বেশিরভাগেরই অভিযোগ, তাতে খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না তাঁদের। একটিমাত্র রেক ব্যবহার করে পরিষেবা দেওয়ার কারণে দুটি মেট্রোর মধ্যে সময় ব্যবধান থাকছে অনেকটাই। স্বাভাবিক ভাবেই মেট্রো চললেও খুব একটা সুবিধা পাচ্ছেন না বেহালাবাসী। মেট্রোর আধিকারিকদের সূত্রে দাবি, মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন চালু হলে অনেকটাই সুরাহা হবে এই সমস্যার।
আরও পড়ুন: সাতদিনের মধ্যে সভা করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন শুভেন্দু, নজরে আজ পটাশপুর
মেট্রো স্টেশন থেকে নেমেই পূর্ব রেলের মাঝেরহাট স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেন ধরতে পারবেন নিত্যযাত্রীরা। মধ্য কলকাতা থেকে বেহালায় যাতায়াত করা এক্ষেত্রে অনেকটাই সহজসাধ্য হয়ে উঠবে। শুধুমাত্র মাঝেরহাট স্টেশন নয়, রুবির পরবর্তী মেট্রো স্টেশনগুলিও পরিদর্শন করে দেখেন মেট্রো রেলওয়ের জিএম পি উদয় কুমার রেড্ডি। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের আধিকারিকদের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। মেট্রো সূত্রের খবর, স্টেশন গুলির কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন জেনারেল ম্যানেজার।
তবে স্টেশন প্রস্তুত হয়ে যাত্রী পরিষেবার জন্য তৈরি থাকলেও এখনও রেল বোর্ডের তরফে ছাড়পত্র না মেলায় যাত্রী পরিষেবা শুরু করা যায়নি মেট্রো রেলের লাইন সিক্স বা অরেঞ্জ লাইনে। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত মোট পাঁচটি মেট্রো স্টেশন একেবারে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। রেলবোর্ডের তরফে এই অকারণ বিলম্ব হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে পরবর্তী স্টেশনগুলি প্রস্তুত হয়ে গেলেও যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রেলবোর্ডের টালবাহানায় আদৌ এই ডেডলাইন মিলবে তো?
সাহ্নিক ঘোষ